ঢাকা | বুধবার | ২২শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩০শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

নির্মাণ-আবাসন শিল্পের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী শুরু ১৩ নভেম্বর

ঢাকায় শুরু হতে যাচ্ছে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক নির্মাণ, আবাসন, পানি ও বিদ্যুৎ খাতের প্রদর্শনী। এই অনুষ্ঠান আগামী ১৩ থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) অনুষ্ঠিত হবে। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শিল্প-বাণিজ্যিক প্রদর্শনী হিসেবে পরিচিত।

বিশেষ এ আয়োজনের মধ্যে রয়েছে, ‘৩০তম বিল্ড সিরিজ অব এক্সিবিশন্স’, ‘২৭তম পাওয়ার সিরিজ অব এক্সিবিশন্স’ এবং ‘৭ম ওয়াটার বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী-২০২৫’। ক্লান্তিহীন ২৯ বছরের ইতিহাসে এই প্রদর্শনী টানা সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ-এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যেখানে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবাই অংশগ্রহণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

সোমবার রাজধানীর সেমস বাংলাদেশ অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়। এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ ও এশিয়া প্যাসিফিকের প্রেসিডেন্ট ও গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেহেরুন এন. ইসলাম, গ্রুপ সিইও এস. এস. সারওয়ার, নির্বাহী পরিচালক তানভীর কামরুল ইসলাম এবং পরিচালক অভিষেক দাস।

বিশ্বজোড়া ২০টিরও বেশি দেশের ২০০টির মতো কোম্পানি অংশ নেবে এই প্রদর্শনীতে। ৫০০ এর বেশি বুথ ও আন্তর্জাতিক প্যাভিলিয়নসহ এই মেলায় উপস্থিতির প্রত্যাশা রয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার ব্যবসায়ী ও দর্শনার্থীর।

দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডগুলো যেমন ওয়ালটন, এসিআই, রহিম আফরোজ, ওমেরা ও এসএসজি তাদের সর্বশেষ প্রযুক্তি, পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করবেন।

একই সময়ে আয়োজনের মধ্যে রয়েছে ২২তম সোলার বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক এক্সপো-২০২৫, যেখানে নলেজ পার্টনার হিসেবে থাকছে জার্মান উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জিআইজেড বাংলাদেশ। সেমস-গ্লোবাল ও জিআইজেড বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে, ১৫ নভেম্বর আইসিসিবির ৫ নম্বর পুষ্পাঞ্জলি হলে অনুষ্ঠিত হবে দিনব্যাপী ‘শেপিং টুমরো’স এনার্জি ওয়ার্কফোর্স’ শীর্ষক সম্মেলন।

প্রদর্শনীতে সহযোগিতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে বেঙ্গল এয়ারলিফট লিমিটেড।

এছাড়াও, অনুষ্ঠানের পাশাপাশি চারটি সেমিনার আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা বাস্তব অভিজ্ঞতা ও গবেষণার ভিত্তিতে নির্মাণ, আবাসন, জ্বালানি ও পানির বৈশ্বিক প্রবণতা, উদ্ভাবন ও টেকসই উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করবেন।

বিশ্লেষকরা আশাবাদী, এই আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের নির্মাণ, জ্বালানি ও পানি খাতের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে।