ঢাকা | শুক্রবার | ৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৩ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

বাংলাদেশ ব্যাংক নিলামে ৪৭.৫০ মিলিয়ন ডলার কেনা

বিগত তিন অর্থবছর ধরে ডলার বাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে রিজার্ভ থেকে বিপুল পরিমাণ ডলার বিক্রি করছিলো বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এই ধারায় পরিবর্তন এসেছে। এখন থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার কেনার মাধ্যমে বাজারের ভারসাম্য রক্ষা করছে। চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত ছয় দফায় মোট ৬৮ কোটি ডলারের বেশি ডলার সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে সবশেষ গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে নয়টি বাণিজ্যিক ব্যাংক ৪৭.৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনে নেয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, বর্তমানে ডলার বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি। এজন্য রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি না করে ব্যাংকগুলো বাজার থেকে সরাসরি ডলার কিনছে। এ পদক্ষেপের মাধ্যমে চলতি বছরের জন্য ডলারের বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে চায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ভবিষ্যতেও এই পদ্ধতি অব্যাহত থাকবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।

ডলার কেনাকাটা বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ (এফএক্স) নিলাম কমিটির মাধ্যমে, মাল্টিপল প্রাইস অকশন পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়। এই প্রক্রিয়ায় এক ডলার বিক্রির হার ছিল ১২১ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৭৫ পয়সা পর্যন্ত।

এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পাঁচ দফায় ডলার সংগ্রহ করে। ১৩ জুলাই ১৮টি ব্যাংক থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সায় ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার, ১৫ জুলাই একই দরে ৩১ কোটি ৩০ লাখ ডলার, ২৩ জুলাই ১২১ টাকা ৯৫ পয়সায় এক কোটি ডলার, ৭ আগস্ট ১২১ টাকা ৩৫ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার এবং ১০ আগস্ট ১১টি ব্যাংক থেকে ১২১ টাকা ৪৭ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে মোট ৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার কেনা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ডলারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি বা হ্রাস হওয়া উভয় পরিস্থিতিই অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। বর্তমানে দেশে খাদ্য মজুত পর্যাপ্ত এবং বিদেশি ঋণ পরিশোধের কাজও সফলভাবে চলছে। ফলে, অচিরেই ডলারের তীব্র চাহিদা তৈরি হওয়ার কোন আশঙ্কা নেই।

তারা আরও জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই ডলার ক্রয় রিজার্ভের শক্তিশালীকরণে ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি, জাতীয় নির্বাচন শেষে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসলে বিনিয়োগ বাড়বে, যা ডলারের চাহিদাও বাড়াতে পারে।