রংপুরে প্রায় ২৭ শতাংশ মানুষ থ্যালাসেমিয়ার বাহক হিসেবে พบ গেছে। এ ছাড়া প্রতিবছর বাংলাদেশে ৫ থেকে ৮ হাজার নতুন থ্যালাসেমিয়ার রোগী শনাক্ত হয়। বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা করে যদি থ্যালাসেমিয়ার বাহক নারীর বা পুরুষের বিয়ে বন্ধ করা যায়, তবে এই রোগের প্রতিরোধ শতভাগ সম্ভব হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা ও বিনামূল্যে মেডিকেল ক্যাম্প’ বিষয়ক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন করেন চিকিৎসকরা। বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি ও হাসপাতালের উদ্যোগে আয়োজিত এই সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতির নির্বাহী পরিচালক ডা. একরামুল হোসেন স্বপন। তিনি বক্তৃতায় জানান, থ্যালাসেমিয়া বাহক ও রোগীর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। বাহকের কোনো উপসর্গ দেখা যায় না এবং তাদের চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। তবে তারা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য রোগ বহন করতে সক্ষম। যদি সবাই সচেতন হন এবং বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা করে বাহককে এড়ানো যায়, তাহলে এই রোগের বিস্তার রোধ সম্ভব। চিকিৎসকরা আরও বলছেন, থ্যালাসেমিয়া রোগের চিকিৎসা খুব খরচালু, ফলে অনেক পরিবার অর্থের জন্য নিঃস্ব হয়ে যায়। তাই রোগের নিরাময় ও প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শরিফুল ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর গ্রুপের উপব্যবস্থাপনাপরিচালক আশরাফুল আলম আল আমিন এবং বিশেষ অথিতি হিসেবে ছিলেন রংপুর গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন সরকার।
