ঢাকা | বৃহস্পতিবার | ৪ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১২ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

মানুষ-হাতির সহাবস্থান নিশ্চিতের জন্য দ্রুত ক্ষতিপূরণের উদ্যোগ গ্রহণের পরিকল্পনা: পরিবেশ উপদেষ্টা

মানুষের জীবন ও প্রানীদের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহবাস নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারের অগ্রাধিকার হিসেবে উদ্যোগ গ্রহণের কথা জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেছেন, হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্তদের যেন সহজে ও দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়া যায়, তার জন্য সংশ্লিষ্ট বিধিমালা সহজ ও সংশোধন করার পরিকল্পনা নেওয়া হবে। পাশাপাশি, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সাহায্যার্থে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়ার ওপরও তিনি জোর দিয়েছেন।

গত রাতে, মানুষের সঙ্গে বন্য হাতির দ্বন্দ্বের সমাধানে করণীয় নির্ধারণে একটি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় যেখানে তিনি ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। এর প্রধান লক্ষ্য ছিল হাতির আক্রমণের ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত সহায়তা দেওয়া এবং দ্বন্দ্ব কমানো।

পরিবেশ উপদেষ্টা আরও বলেন, হাতির টিকে থাকার জন্য আমাদের সময়োপযোগী ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এজন্য, স্থানীয় পেশাদারদের নিয়ে একটি শক্তিশালী এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম গঠন করতে হবে এবং তাদের কাছে আধুনিক প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, যেমন ওয়াকিটকি সরবরাহ করতে হবে। এছাড়াও, হাতির আহরণ ও খাদ্য সরবরাহের জন্য স্থানীয় পরিবেশের উপযোগী গাছ লাগানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

সভায় আরো জানানো হয়, বোরো মৌসুমে সংরক্ষণে সংশ্লিষ্ট কর্মভার বাড়াতে অতিরিক্ত জনবল প্রস্তুত রাখতে হবে। পাশাপাশি, স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ ও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশিক্ষণ ও কার্যক্রম চালুর ওপর জোর দেন বক্তারা। সামাজিক মাধ্যমে হাতি সম্পর্কিত সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ভিডিও তৈরি ও প্রচার করার নির্দেশনা দেন তারা। সতর্ক করে বলা হয়, হাতির আশেপাশে গিয়ে টিকটক বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া ভিডিও করা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে।

সভায় প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, উপপ্রধান বন সংরক্ষক মো. রকিবুল হাসান মুকুল, শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান, বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. আলী রেজা খান, বন সংরক্ষক মো. ছানাউল্লাহ পাটোয়ারী, হাতি সংরক্ষণ প্রকল্পের পরিচালক এ. এস. এম. জহির উদ্দিন আকনসহ বিভিন্ন জেলা ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।