লা লিগা, কোপা দেল রে ও স্প্যানিশ সুপার কাপ—২০২৪-২৫ মৌসুমে তিনটি শিরোপা জিতল বার্সেলোনা। তবে, এই সফলতা সত্ত্বেও অর্থনৈতিক দিক থেকে গত মৌসুমটি খুব সুবিধাজনক ছিল না স্প্যানিশ ক্লাবটির জন্য। খবরটি প্রকাশ পেয়েছে ক্লাবের সাম্প্রতিক বার্ষিক সাধারণ সভায়, যেখানে জানানো হয়, ক্লাবের নিট লোকসান দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৭০ লাখ ইউরো, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৪২ কোটি টাকা।
অবশ্য, পুরো মৌসুমে ক্লাবটি রেকর্ড রোজগার করেছে প্রায় ৯৯ কোটি ৪০ লাখ ইউরো। ২০২৩-২৪ মৌসুমে তাদের আয়-ব্যয় ছিল ৯০ কোটি ইউরোর নিচে, যেখানে ক্লাবটি ইতিমধ্যে ৫০ লাখ ইউরো মুনাফাও দেখিয়েছিল। এবার সাধারণ সভায় ক্লাবের বিদায়ী সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
নিজের দ্বিতীয় মেয়াদের শেষ সভায় উপস্থিত ছিলেন লাপোর্তা, যিনি ক্লাবের বিভিন্ন দিকের পাশাপাশি অর্থনৈতিক অবস্থার বিষয়েও গুরুত্ব দেন। সভায় জানানো হয়, আগের মৌসুমে যদিও সামান্য মুনাফা হয়েছিল, কিন্তু এবার অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে।
রাজস্বের ব্যাপারে এখনো ক্লাবের আয় প্রায় ১০০ কোটি ইউরো। তবে, খেলোয়াড়দের বেতন বাবদ খরচ বেড়েছে সামান্য— ৫১ কোটি ইউরো থেকে ৫৩ কোটি ৪০ লাখ ইউরোয়। এই সামান্য বৃদ্ধি এটুকুই শেষ পর্যন্ত ক্লাবকে লোকসানে ঠেলে দেয়।
তবে, লা মাসিয়া একাডেমির সাফল্য, মাঠের পারফরম্যান্স আর নতুন স্পটিফাই ক্যাম্প ন্যু ভবনের নির্মাণসহ বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে বার্সেলোনা আবার ঘুরে দাঁড়ানোর মনোভাব প্রকাশ করেছেন লাপোর্তা। তিনি বলছেন, ‘অর্থনৈতিকভাবে আমরা এমন সব কাজ করেছি যাতে সদস্যরাই ক্লাবের মালিক হন। নিজের পকেট থেকে আর কোনও টাকা খরচ করতে হয়নি। মাঠে না খেলেই, আমরা ৯৯ কোটি ৪০ লাখ ইউরো রোজগার করতে পেরেছি—এটা সত্যিই বিশাল সাফল্য।’
উল্লেখ্য, স্পনসরশিপ থেকে তারা রেকর্ড ২৫ কোটি ৯০ লাখ ইউরো আয় করেছে, যা আন্তর্জাতিক বাজারে তাদের উপস্থিতি বেড়ানোর ফল। একই সঙ্গে, লিগের ঋণের পরিমাণ ৯ কোটি ইউরো কমিয়ে আনা গেছে, যা স্প্যানিশ ফুটবল মহলেই প্রশংসিত। লাপোর্তা আরও বলেছেন, ‘আমরা ব্যয় নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে চলেছি, যাতে ভবিষ্যতে আরও ভালো করতে পারি।’














