প্রায় দুই বছর আগে মজলিশপুর ও চরমহিদাপুরের চরবাসীদের ভাষ্য ছিল বোঝার মতো। মাঝি সুজন শেখসহ এই গ্রামগুলোর স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছিলেন, তাদের জীবনে বেশ আক্ষেপ এবং চাপা কষ্টের গল্প। রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের শেষপ্রান্তে এই চরের মানুষজনের জীবন খুবই কষ্টকর। এই দু’টি গ্রামে প্রায় ছয় মাস পানির নিচে থাকায় যোগাযোগের মুখ্য মাধ্যম ছিল ঘোড়ার গাড়ি। রাস্তা-ঘাটের বেহাল দশা এবং বর্ষাকালে ইতস্তত চলাচল আরামদায়ক ছিল না। একমাত্র নৌকার উপর ভর করে চলাচল করতে হতো। তবে সম্প্রতি ব্রিজ নির্মাণের ফলে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন এসেছে। স্থানীয় manyজনের মুখে হাসি ঝরে পড়ছে। তারা বলছেন, নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগের সুবিধা পেয়ে তারা অনেকটাই স্বস্তি পেয়েছেন। এই ব্রিজের কারণে কৃষকরা নিজেদের উৎপাদিত ফসল সহজে বাজারে নিয়ে যেতে পারছেন, যা আগে শুধু নৌকা বা ভ্যানে সম্ভব হতো। surveyকালে দেখা গেছে, স্ট্রিটে উঠে যাওয়া একটি চওড়া ব্রিজ দিয়ে ইতিমধ্যেই চলাচল শুরু হয়েছে। এই উন্নয়নের ফলে আগের তুলনায় তাদের জীবন আরও সহজ ও স্বস্তিদায়ক হয়েছে। স্থানীয় চর দৌলতদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জহিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, এই এলাকায় মৌসুমী ফসলের উৎপাদন বেশ ভালো হয়। তবে আগে যোগাযোগের খারাপ পরিস্থিতির কারণে কৃষকরা তাদের পণ্য মূল্য পেত না। সরকারের উদ্যোগে ব্রিজ নির্মাণের পরে এই সমস্যা অনেকটাই দূর হয়েছে। ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য শেখ রাসেল আহম্মেদ বলেন, এই অঞ্চলের মানুষের জীবন নদীর সঙ্গে যুদ্ধের মতো। এখন চরবাসীরা রিকশা, ভ্যান, অটো এবং বিভিন্ন বড় যানবাহনে করে সহজেই কৃষিপণ্য পরিবহন করতে পারছেন। ব্রিজের নির্মাণটি সত্যিই তাদের জন্য স্বস্তির নিঃশ্বাস এনে দিয়েছে।
