ঢাকা | রবিবার | ১৯শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৭শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

জয়পুরহাটে ‘পাখি কলোনি’ নির্মাণ

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে গড়ে উঠেছে নতুন একটি উদ্যোগ—‘পাখি কলোনি’। এই প্রকল্পের মাধ্যমে পাখিদের জন্য নিরSafe và সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করতে উপজেলা প্রশাসন নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। গাছের ডালে বাঁধা হয়েছে মাটির হাঁড়ি, যেখানে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি বাসা বাঁধার সুযোগ পাচ্ছে। পাশাপাশি, শান বাঁধানো পুকুরে বসবাস করছে আড়ানী, যা পাখিদের জন্য নিরাপদ ও খাদ্যের উৎস।

প্রকৃতির এই সুন্দর কর্মকাণ্ডের ফলে দীর্ঘদিন পর পাখির কলরব আবার ফিরে এসেছে উপজেলা চত্বরে, যা পরিবেশের প্রাণচাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনে। বর্তমানে, শালিক, দোয়েল, বাবুই, টুনটুনিসহ বিভিন্ন দেশীয় পাখি এখন এই কলোনিতে বাসা বাঁধছে। পুকুরের স্নিগ্ধ জলরাশি ও রোদে ঝিকমিক করে মাছের খেলা এই পরিবেশটিকে আরও মনোমুগ্ধকর করে তুলেছে।

স্থানীয়রা এতে খুবই আনন্দিত। শাহিনুর ইসলাম নামে একজন বলেন, পাখির কূজনের কারণে এর পরিবেশ একদম বদলে গেছে। তিনি আরও বলছেন, এই পাখি কলোনি দেখে নিজেকে খুবই খুশি লাগছে।

সুবিধা ও পরিবেশের জন্য কাজ করা আরও একজন পরিবেশ কর্মী এম রাসেল আহমেদ বলেন, যেখানে অনেক মানুষ পাখি মারছে বা তাড়াচ্ছে, সেখানে এই উদ্যোগটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি কেবল একটি প্রকল্প নয়; এটি সহানুভূতির পরিচয়। পাখি বাঁচলে প্রকৃতি বাঁচবে, আর প্রকৃতি বাঁচলেই মানুষের জীবন সুস্থ ও সুন্দর থাকবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদুর রহমান বলেন, পাখিরা কৃষির জন্য অবিচ্ছিন্ন সহযোগী। তারা মাঠের ক্ষতিকর পোকার শত্রু হিসেবে কাজ করে। এই উদ্যোগ পরিবেশ, কৃষি এবং জীববৈচিত্র্যের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক।

অবশেষে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ আল জিনাত বলেন, প্রকৃতি প্রাণবন্ত করতে গাছ, মানুষ ও পাখি একসঙ্গে থাকতে হবে। পাখি কলোনি শুধু পাখিদের আশ্রয় নয়, এটি আমাদের নৈতিক দায়িত্বের প্রতিফলন। এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা প্রকৃতি ও পরিবেশের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি। মূলত, পাখির কূজনের মধ্যেই আমরা প্রকৃতির হাসি শুনতে চাই এক মানবিক ও সবুজ পৃথিবীর প্রত্যাশায়।