ঢাকা | রবিবার | ১৯শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৭শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

রুহুল কবির রিজভীর গুরুত্বপুর্ণ বলেন: জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে হওয়া অপরিহার্য

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আবারও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে করার কোনো বিকল্প নেই। গতকাল বুধবার নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মত প্রকাশ করেন, যেখানে তিনি বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নির্বাচন প্রক্রিয়ার উপর দু-একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেন।

তাঁর ব্যাখ্যা মতে, যদি গণভোট আগে হয়, তবে জাতীয় নির্বাচনে দেরি হবে, যা দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাঁর মতে, জনগণের নির্বাচিত সরকার দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে রাজনৈতিক সংকটের মাত্রা আরও মারাত্মক হয়ে উঠবে। তিনি আরও বলেন, যারা গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশ নিয়েছেন, তারা যেন এই পথেই অটুট থাকেন, যাতে পরবর্তী নির্বাচনী যাত্রা কোনভাবে বিঘ্নিত না হয়। অন্যথায়, দুষ্টচক্রের প্রবেশের আশঙ্কা বাড়বে, যা দেশের স্থিতিশীলতার জন্য ক্ষতিকর।

রিজভী যোগ করেন, উন্নত দেশগুলোও দীর্ঘদিনের গণতান্ত্রিক চর্চার পর এখনো জনমতের আসল চিত্র জানার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করছে। তিনি জাপানের উদাহরণ দিয়ে বলেন, জাপানে শতকরা ৩৭ শতাংশ পিআর পদ্ধতি চালু থাকলেও সেখানে মত প্রকাশের প্রকৃত চিত্রের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের উন্নয়নের জন্য আলোচনা চলছে। সেখানে কেন আমাদের দেশে হঠাৎ করে এই পদ্ধতি চালু করতে চান, তা বোঝা যায় না।

তিনি সতর্ক করে বলেন, জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে হঠাৎ করে পিআর পদ্ধতির কথা বললে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে। সমস্ত জরিপ দেখিয়ে দেখা যাচ্ছে, বেশিরভাগ মানুষ এই পদ্ধতি সম্পর্কে তেমন ধারণা রাখে না বা বিভ্রান্ত। রিজভী বলছেন, উন্নত দেশের মধ্যেও সরাসরি ভোটের মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচনের পদ্ধতি চালু রয়েছে, যেখানে প্রত্যক্ষ ভোট পরে প্রার্থী নির্বাচন করা হয়। এ বিষয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন, আমাদের বর্তমান পরিস্থিতিতে কেন এই পদ্ধতিটাই সর্বোত্তম বলে মনে হচ্ছে।

অতএব, তিনি মনে করেন, এই ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা থেকে বিরত থাকাই উত্তম, যাতে দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে এবং কোনও অপ্রিয় পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়।