ঢাকা | শুক্রবার | ৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৩ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

মেসির বিদায়ের আগে কান্নায় ভেঙে পড়লেন সাংবাদিক, চোখে পানি স্কালোনিরও

আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি ফুটবলার লিওনেল মেসির সম্ভাব্য শেষ বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচের আগের উত্তেজনা ও আবেগে পুরো দেশ মুখরিত। আগামীকাল বুয়েনস আয়ার্সে ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে, যা হতে পারে মেসির আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষের মুহূর্ত। এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকেরা নানা আবেগ ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তেমনি এক সাংবাদিক সংবাদ সম্মেলনে হয়তো নিজের অনুভূতিকে সামলাতে না পেরে চোখের জল ফেলেন, যা দেখা যায় আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনিরও।

সংবাদ সম্মেলনে স্কালোনি মেসির ভবিষ্যৎ ও বিদায় নিয়ে কথা বলছিলেন, তখনই ঘটলো ওই ঘটনা। এক সাংবাদিক আবেগে ভেসে যান এবং কেঁদে ফেলেন, যা সকলের চোখে পড়ে। এই দৃশ্যের প্রতিক্রিয়ায় স্কালোনি লঘুস্বরে বলেন, ‘আপনি কি কাঁদছেন? এটি আমার উদ্দেশ্য ছিল না।’ জবাবে সেই সাংবাদিক বলেন, ‘আপনি আমাকে জীবনের সবচেয়ে বড় আনন্দ দিয়েছেন।’

স্কালোনি তখন কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে থাকেন, তার অশ্রুসজল চোখ ও কণ্ঠে ভাব প্রকাশ হয়। তিনি বলেন, ‘আমি ওর সঙ্গে খেলেছি, শুধুমাত্র বল পাস করাই ছিল বিশেষ কিছু। ওর সঙ্গে বিশ্বকাপে থাকা, ট্রফি উঁচিয়ে ধরার মুহূর্ত—এর মধ্যে যে আবেগ লুকানো, তা ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব। সময়ের সঙ্গে সবাই বুঝতে পারবেন এর গভীর অর্থ।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগামীকালকার দিনটি হবে সুন্দর ও আবেগান্বিত। আমি বিশ্বাস করি, এটি তার শেষ ম্যাচ নয় আর্জেন্টিনায়। আমরা নিশ্চিত করব, সে আবার খেলার সুযোগ পাবে, যদি সে চায়। কারণ, এটি তার পাওনা।’

মেসির প্রতি নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করে স্কালোনি যোগ করেন, ‘যদি আপনি এই পরিস্থিতিতে না থাকেন, তবেই বুঝতে পারবেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, আজ সে আমাদের সঙ্গে রয়েছে এবং আমরা তার সাথে উপভোগ করছি। আমি প্রতিদিন তার কোচ হিসেবে কাজ করতে পেরে গর্বিত।’

এ পর্যন্ত মেসি আর্জেন্টিনার হয়ে ১৯৩টি ম্যাচে অংশ নিয়েছেন, জিতেছেন ১২টি গোল্ডেন বুট, অর্জন করেছেন চারটি শিরোপা—বিশ্বকাপ, দুটি কনমেবল ও একটি ফাইনালিসিমা।

স্কালোনি নিশ্চিত করেছেন, ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ম্যাচে মেসি অবশ্যই খেলবেন, এর অন্যথা হওয়ার প্রশ্ন নেই। তবে ইকুয়েডরের বিপক্ষে পরবর্তী ম্যাচে তার খেলা নির্ভর করছে শারীরিক অবস্থার ওপর।

অসঙ্গত, এই ম্যাচে আরও থাকবেন মেসির পরিবারের সদস্যরা ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা, যা করে এই খেলা হতে যাচ্ছে সম্ভবত তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের এক বিশেষ ও ইতিহাসঘটিত মুহূর্ত।