ঢাকা | বৃহস্পতিবার | ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

নির্দোষে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে মুক্তি পেলেন বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করার জন্য আদালত অবমাননার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে নেওয়া কার্যক্রম শেষ হলো। গত ৮ ডিসেম্বর, তিনি সশরীরে আদালতে উপস্থিত হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেহারার মাধ্যমে ওই অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলেন। ট্রাইব্যুনাল-১-এর নির্দেশে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। আদালত সকলের সুস্পষ্ট নজরে আনার জন্য জানা গেছে, ফজলুর রহমান এই দিন সকালে আদালতে হাজির হন। তার সঙ্গে তার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবীজনে, যেমন জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

ঘটনার মূল সূত্রপাত ঘটে একটি টকশোতে ফজলুর রহমানের দেওয়া বক্তব্যকে কেন্দ্র করে। সেখানে তিনি ট্রাইব্যুনালের গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, পাশাপাশি মন্তব্য করেন, ‘এই কোর্টে বিচার হতে পারে না’ এবং বিচারকদের নিয়ে সংশয় ব্যক্ত করেন। এই বক্তব্যের জন্য, ২৬ নভেম্বর, প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হোসাইন তামীম তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ করেন।

অভিযোগটি গ্রহণ করে, ৩০ নভেম্বর ট্রাইব্যুনাল কঠোর ভর্ৎসনা করে বলে, এই ধরনের মন্তব্য দেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে, রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল। এছাড়াও, আদালত তার আইনজীবীর লাইসেন্সের বিষয়ও সংশয় প্রকাশ করেন এবং ৮ ডিসেম্বর, তার সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেন। আদালতকে সম্মান জানানোর জন্য, তিনি ৩ ডিসেম্বর লিখিতভাবে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেন। অবশেষে, আজকের ব্যক্তিগত হাজিরা ও ক্ষমা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে, ট্রাইব্যুনাল তার বিরুদ্ধে নেওয়া অভিযোগটি অবসান করে দেন। এই ঘটনা এখন মীমাংসা হয়েছে, এবং ফজলুর রহমান মুক্তি পেলেন।