ঢাকা | রবিবার | ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৬ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

সোনারগাঁওয়ে ইসলামী দলের প্রার্থীদের ঐক্যবদ্ধ শুভকামনা ঘোষণা

নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁও-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে ইসলামী দলের সংসদ প্রার্থীরা একত্রিত হয়ে এক শক্তিশালী মঞ্চে ঐক্যের ঘোষণা দিয়েছেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এই ঐক্যজোটের কার্যক্রম আরও জোরদার করতে তারা একসঙ্গে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

গত মঙ্গলবার রাতে সোনারগাঁওয়ের বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের হামছাদী এলাকায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কার্যালয়ে একটি যৌথ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় ঐক্যজোটের অন্তর্ভুক্ত পাঁচ দলের এমপি পদপ্রার্থী একত্রিত হয়ে নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত যেন একসঙ্গে থাকেন, সে বিষয়ে তাদের দৃঢ় অঙ্গীকার প্রকাশ করেন।

অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্যে ছিলেন জামায়াত ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী ড. মো. ইকবাল হোসাইন ভূঁইয়া, খেলাফত আন্দোলনের আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রার্থী মাওলানা শাহজাহান শিবলী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মো. ফারুক আহমেদ মুন্সী ও খেলাফত মজলিসের মুফতি সিরাজুল ইসলাম সহ উপস্থিত স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ জনগণ।

সভায় বক্তারা বলেছেন, এ ঐক্যজোটের অংশগ্রহণ জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন। তারা আর জানিয়েছে, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ইসলামি মূল্যবোধ ও ন্যায্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য এই ঐক্যের বিকল্প থাকছে না।

প্রার্থীরা মহান আল্লাহর কাছে এই ঐক্যকে কবুল করার অনুরোধ জানান এবং আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এবার সত্যিকার অর্থে ইসলামপন্থী শক্তিই সংসদে প্রতিনিধিত্ব করবে। তারা আরো বলেন, তাদের লক্ষ্য সব পরিস্থিতিতেই ধর্মীয় মূল্যবোধ রক্ষা ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। তাঁরা বলেন, সোনারগাঁওবাসীর ভালোবাসাই তাদের শক্তি।

এদিকে, সভায় উপস্থিত সাধারণ মানুষ বলছেন, অনেক দিন পরে এভাবে ইসলামি দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ উপস্থিতি দেখা গেল। তাঁদের ধারণা, এই ঐক্য নতুন রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। তবে কেউ কেউ মনে করেন, ভোটের মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে মূলত দুই বড় দলের মধ্যে; যদিও এই ঐক্য ছোট দলের জন্য সাময়িক শক্তি যোগাবে।

সোনারগাঁওটি সবসময়ই রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ আসন। শিল্পাঞ্চল, পর্যটন কেন্দ্র ও ঘনবসতিপূর্ণ এই এলাকা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত ও অন্যান্য দলগুলো সক্রিয়ভাবে ভোটের মাঠে কাজ করে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে ৮ দলীয় ঐক্যজোটের যৌথ উপস্থিতি স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সভা শেষে প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠে একযোগে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন এবং শিগগিরই বড় ধরনের জনসভা আয়োজনের ঘোষণা দেন।