ঢাকা | রবিবার | ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৬ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

দিল্লি বিস্ফোরণের রহস্য উন্মোচনে অজানা প্রশ্নগুলো

দিল্লির লাল কেল্লা এলাকায় হওয়া ভয়াবহ বিস্ফোরণের তদন্ত চলছে দ্রুত গতিতে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই গোয়েন্দা সংস্থাগুলি ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালাচ্ছে এবং ফরেনসিক দল নমুনা সংগ্রহ করছে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত নয়জনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছে প্রশাসন। ঘটনাস্থলে গিয়ে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিজেও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন। তবে, বিবিধ প্রশ্নের উত্তর এখনো অধরা রয়ে গেছে।

বিস্ফোরণের কী কারণে ঘটল? এটি কি কোনো সন্ত্রাসী হামলা নাকি অন্য কিছু? এর কারণ এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। দিল্লির পুলিশ কমিশনার সতীশ গোলচা জানিয়েছেন, এই বিস্ফোরণের ফলে কাছাকাছি থাকা বেশ কয়েকটি গাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘটনার খবর পাবার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ, ফরেনসিক বিশ্লেষক দল, এনআইএ এবং অন্যান্য বণ্টন সংস্থা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে। তবে, গাড়িতে বিস্ফোরক ছিল কি না, এই বিষয়গুলো এখনো স্পষ্ট নয়।

জানা যায়, গাড়িতে কি আগেই থেকে বিস্ফোরক বা বোমা ওত পেতে ছিল? না হয়, গাড়ির জ্বালানি ট্যাংক বা সিএনজি ট্যাংক থেকেই বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে। এসব বিষয় নিয়ে তদন্ত চলছে। কেউ কেউ বলছেন, গাড়ির চালক বা যাত্রীরা আগে থেকেই আগত বিপদটির বিষয়ে সচেতন ছিলেন কি না, তা আজও পরিষ্কার হতে পারছে না।

এদিকে, পুলিশ বলেনি এটি কোনো সন্ত্রাসী হামলা কি না। তবে পুলিশি সূত্র জানাচ্ছে, অতিরিক্ত সংস্থাগুলি তদন্তে অংশ নিয়েছে। ফরেনসিক পরীক্ষাগার থেকে সংগৃহীত নমুনাগুলোর বিশ্লেষণ চলছে, যা শেষ হলে জানা যাবে আসল ঘটনা। কিছু প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান অনুযায়ী, তাদের ধারণা, গাড়িতে থাকা প্লাস্টিক বা সিলিন্ডার থেকেই বিস্ফোরণ হয়েছে। তা হলেও, এই দাবিগুলোর সার্বিক সত্যতা নিশ্চিত হওয়া এখনও দেরি হচ্ছে।

তদন্তকারীরা গাড়ির গতিপথ ও সময় জানতে চেষ্টা করছে। নানা সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে, বিস্ফোরণের আগে গাড়িটি এলাকাটিতে হাঁটছিল। এমনকি অনেকের ধারণা, সেটি আগের কিছু ঘন্টা সেখানে পার্ক করে রাখা হয়েছিল। তবে পুলিশ বা আনুষ্ঠানিক সূত্র সেগুলোর সত্যতা নিশ্চিত করেনি।

ভারতের ইতিহাসে আবারো বড় ধরনের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলো। গত দুই দশকে অন্তত ১৪ বার বড় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, যে হামলা রক্তাক্ত করেছে দেশের নানা অঞ্চলে। সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল ২০০৬ সালের মুম্বাই ট্রেন বিস্ফোরণ, যেখানে দুই শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। এই রেকর্ড সংখ্যক হতাহতের ঘটনা শোকের ছায়া ফেলেছে দেশজুড়ে। এই বছর এপ্রিল-মে মাসে আরও কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটেছিল। তবে এখনো, এই দিন ঘটে যাওয়া এই ভয়াবহ বিস্ফোরণটির সত্যতা স্পষ্ট হয়নি।

নতুন সতর্কতা হিসেবে ভারতের বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। রাজধানী ঢেলে সাজানো হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর নজরদারিতে, যেন অন্য কোনও দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।