আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) এক বছর আগে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এই অভিযোগের মধ্যে অন্যতম আর্নাহকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা। সম্প্রতি যুদ্ধবিরতি চুক্তির কার্যকরির পরেও, ইসরাইলি সরকার গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দিচ্ছে।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, রোববারই ইসরাইল সরকার গাজায় মানবিক সাহায্য প্রবেশের পথ সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়। তেলআবিবের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এই পদক্ষেপ হামাসের জিম্মিদের লাশ হস্তান্তরে চাপ সৃষ্টির জন্য নেওয়া হয়েছে।
সাহায্য বন্ধ হওয়ার এই সিদ্ধান্তকে যুদ্ধবিরতির কঠোর লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছেন আল জাজিরার সাংবাদিক আলি হার্ব। তিনি বলেন, এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের পরিপন্থী।
আইসিসির সংবিধান অনুযায়ী, বেসামরিক নাগরিকদের অনাহারকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। এর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, জেনেভা কনভেনশনের আওতায় ত্রাণ সরবরাহে ইচ্ছাকৃত বাধা দেওয়া।
জাতিসংঘের তদন্তকারীরা গত মাসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানান, ইসরাইল গাজায় খাদ্য সংকটকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গাজার ওপর ইসরাইলি অবরোধের সময় অনাহার যুদ্ধের নীতি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর ফলে শিশুসহ সাধারণ মানুষ ভয়ানক প্রভাবের মধ্যে পড়ে গেছে। অনাহার ও তীব্র অপুষ্টির ব্যাপ্তি বৃদ্ধি পেয়েছে, কলেরা ও ডায়রিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে গেছে, পাশাপাশি অপুষ্টিতে মৃত্যুহারও দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
যদিও যুদ্ধবিরতি চলছে, তবে গাজায় সাহায্য প্রবেশ এখনো বন্ধ। একই সঙ্গে ইসরাইল পরিস্থিতির জন্য হামাস, জাতিসংঘ ও অন্যান্য পক্ষকে দায়ী করছে, তাদের অবরোধ ও মাননার সংকটের জন্য।