ঢাকা | বৃহস্পতিবার | ১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৪শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

সরকারের অনুমোদন: এক লাখ ৩০ হাজার টন সার ও বিশাল পরিমাণ চিনি সংগ্রহের সিদ্ধান্ত

সরকারি পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দেশের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের আওতায় কানাডা, মরক্কো এবং সৌদি আরব থেকে মোট ১ লক্ষ ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার ক্রয় ও আমদানি করার পরিকল্পনা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি) থেকে ১৫ হাজার টন সাদা চিনি সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কেনা হবে।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, যিনি ভার্চুয়ালি বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

সারা দেশের কৃষি সমৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে কানাডার কমার্শিয়াল কর্পোরেশন (সিসিসি) ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির অধীনে ৪০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার কিনতে সম্মতি দেওয়া হয়েছে। এর ব্যয় হবে প্রায় ১৭৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা, যেখানে প্রতি মেট্রিক টন সার এর দাম নির্ধারিত হয়েছে ৩৫৬.২৫ মার্কিন ডলার।

অপর দিকে, মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস এবং বিএডিসির মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানি করার অনুমোদন দিচ্ছে সরকার। এতে ব্যয় হবে প্রায় ২০৮ কোটি ৮১ লাখ টাকা, যার প্রতি টনের মূল্য নির্ধারিত হয়েছে ৫৬৮.৬৭ মার্কিন ডলার।

এছাড়া, শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবানুসারে সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানি করা হবে, যার ব্যয় হবে প্রায় ১৫৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। প্রতি টনের দাম নির্ধারিত হয়েছে ৪২২.৬৬ মার্কিন ডলার।

সাম্প্রতিক অন্য একটি সিদ্ধান্তে, কাফকো নামে বাংলাদেশে অবস্থিত কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ১৪৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা, এর প্রতি টনের মূল্য ধরা হয়েছে ৩৯০.৭৫ মার্কিন ডলার।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন থেকে ১১৫.৫৮ টাকা কেজিতে ১৫ হাজার টন আখের সাদা চিনি কেনা হবে। এতে মোট খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১৭৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। এই চিনি সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে সংগ্রহ করা হবে।

এছাড়া, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের ভিত্তিতে, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়িত ‘আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণ’ প্রকল্পের নারায়ণগঞ্জের রাইস সাইলোর নির্মাণের প্রথম ও চূড়ান্ত ভেরিয়েশন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মূল চুক্তিমূল্য ছিল প্রায় ৪৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকা, তবে ভেরিয়েশনে এই মূল্য ৪ কোটি ২৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকা কমে নতুন চুক্তি মূল্য হয়েছে ৪২ কোটি ৫৩ লাখ ১১ হাজার টাকা।