ঢাকা | সোমবার | ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৭ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

সিইসির মনে অবস্থান: এবারের নির্বাচন জীবনশেষের সুযোগ

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, এবারের নির্বাচন তার জীবনের শেষ সুযোগ হিসেবে তিনি গ্রহণ করেছেন। তিনি আরও বলেছেন, এই শেষ সুযোগটি দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তিনি চান দেশের মানুষ যেন একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন উপভোগ করতে পারেন। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন সম্পর্কিত ধারাবাহিক সংলাপে এই মন্তব্য করেন তিনি। সেখানে তিনি অন্যান্য চার নির্বাচন কমিশনারসহ আরও উচ্চ পর্যায়ের নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।

সিইসি জানান, দেশের জন্য কিছু করে দেখানোর জন্য এই নির্বাচনে তিনি নিজেকে শেষ সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, যেহেতু স্বচ্ছ, গণতান্ত্রিক ও সুন্দর নির্বাচন সম্ভব করতে রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা অপরিহার্য, তাই সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি নারী নেতৃপ্রতিম ও নির্বাচনে সরাসরি কাজ করার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের অভিজ্ঞতা ও মূল্যবান মতামত আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসব মতামত বিবেচনায় নিয়ে আমরা সামনে এগিয়ে যাব। একই সঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, এবারে তিনি প্রবাসীদের ভোটদানকে সহজ করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন। সরকারি চাকুরিজীবী ও হাজতিদের জন্য পোস্টাল ব্যালট ব্যবস্থাও চালু করা হয়েছে। তিনি সবাইকে একসঙ্গে মিলিত হয়ে এই উদ্যোগ সফল করার আহ্বান জানান।

সিইসি আরও বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভোট দেওয়ার আগ্রহ বেড়েছে। আগে নারীদের ও পুরুষদের মধ্যে পার্থক্য ছিল ৩০ লাখ, যা এখন কমিয়ে আনা হয়েছে। তিনি জানান, পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা ও একটি আধুনিক মডেল চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে প্রবাসী ও সরকারি চাকুরিজীবি, কয়েদিরাও ভোট দিতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, প্রযুক্তি ভিত্তিক যোগাযোগ মাধ্যম ও নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের দায়িত্ব বহুগুণে বাড়ছে। নানা পরিস্থিতিতে দায়িত্ব নিয়ে তিনি বলেন, ব্যক্তিগতভাবে বয়স ৭৩ বছর হয়ে গেছে, কিন্তু জীবনের শেষ এই বড় দায়িত্বে আছেন। তিনি চান একটি সুন্দর ও স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে, যার জন্য সাধারণ জনগণের সহযোগিতা কাম্য। সবাইকে একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ জকরিয়া, সাবেক যুগ্মসচিব খন্দকার মিজানুর রহমান, মো. নূরুজ্জামান তালুকদার, মিহির সরওয়ার মোর্শেদ, শাহ আলম, মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী, মাহফুজা আখতার, সাবেক অধ্যাপক ও ফেমার প্রেসিডেন্ট মুনিরা খান, মোছলেহ উদ্দিন ও মীর মো. শাহজাহানসহ আরও নানা পর্যায়ের কর্মকর্তারা।