ঢাকা | সোমবার | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

ইয়েমেন উপকূলে মার্কিন যুদ্ধজাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা

ইয়েমেন উপকূল থেকে যাত্রা করার সময় হুথি যোদ্ধাদের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার শিকার হয়েছে কয়েকটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ।

পেন্টাগনের কর্মকর্তা মেজর জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড বাহিনী বাব আল-মান্দেব প্রণালীর ট্রানজিটের সময় ইরান সমর্থিত হুথিরা একাধিক হামলা চালায়। তবে সফলভাবে এসব হামলা প্রতিহত করেছে।

এক সংবাদ সম্মেলনে প্যাট্রিক রাইডার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দুটি গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ারে অন্তত আটটি ড্রোন, পাঁচটি জাহাজ বিধ্বংসী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও তিনটি জাহাজ বিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়।

তিনি বলেন, হুথিদের সব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে মোকাবেলা ও পরাজিত করা হয়েছে। এ ঘটনায় মার্কিন নৌবাহিনীর কোনো জাহাজই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বা কর্মীরা আহত হয়নি।

এর আগে মঙ্গলবার হুথি যোদ্ধারা ঘোষণা করেছিল , তারা ৮ ঘণ্টার স্থায়ী আক্রমণে মার্কিন নৌবাহিনীর বিরুদ্ধে দুটি ‘নির্দিষ্ট সামরিক অভিযান’ চালিয়েছে।

হুতিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া এক বিবৃতিতে বলেন, প্রথম অভিযানে আরব সাগরে অবস্থিত মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ‘আব্রাহাম’কে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়। অপর অভিযানে লোহিত সাগরে দুটি মার্কিন ডেস্ট্রয়ার লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। অভিযানটি সফলভাবে তার লক্ষ্য অর্জন করেছে।

রাজধানী সানাসহ ইয়েমেনের বিস্তীর্ণ এলাকা নিয়ন্ত্রণকারী হুতিরা ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে। তবে সশস্ত্র গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালানোর অভিযোগও আনা হয়েছে, যার সঙ্গে ইসরায়েল বা গাজার যুদ্ধের কোনো সুস্পষ্ট সম্পর্ক নেই।

হুতিরা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে ৯০টিরও বেশি জাহাজ লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। এতে চার নাবিক নিহত ও দুটি জাহাজ ডুবে গেছে। গত নভেম্বরে অপহৃত ব্রিটিশ মালিকানাধীন ও জাপান পরিচালিত ক্যারিয়ার গ্যালাক্সি লিডার নামের একটি জাহাজের ক্রুরা এখনো ইয়েমেনে আটক রয়েছেন।