নেদারল্যান্ডসের সিরিজটি শেষ হয়েছে এবং এটি বাংলাদেশের জন্য খুবই সফল ছিল। বিশেষ করে লিটন দাসের পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো, যার ফলে বাংলাদেশ জিতেছে গুরুত্বপূর্ণ এই সিরিজ। সিরিজ শেষে তার হাতে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারটি উঠেছে।
এই সিরিজে লিটন দাস অসাধারণ খেলেছেন এবং একাধিক রেকর্ড ভেঙেছেন। তিনি প্রথমে ভেঙে দিয়েছেন সাকিব আল হাসানের টি-টোয়েন্টি ফিফটির রেকর্ড, এরপরই ছুঁয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের আরও এক উল্লেখযোগ্য রেকর্ড।
আগের সিরিজে তার ব্যাটিং ভালো যাচ্ছিল না, যা এশিয়া কাপের আগে কিছু শঙ্কা সৃষ্টি করেছিল। তবে এখন সেটাই অতীত। মাত্র তিন ম্যাচে তিনি সংগ্রহ করেছেন ১৪৫ রান, আর এই পারফরম্যান্সের জন্য তিনি হয়েছেন সিরিজের সেরা খেলোয়াড়।
সিরিজ শুরুর আগে তার ফিফটির সংখ্যা ছিল ১২। তবে প্রথম ও শেষ ম্যাচে ফিফটি করে এই সংখ্যা বাড়িয়ে ১৪-এ পৌঁছে গেছেন, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ড। এই রেকর্ডের জন্য তিনি এখন বাংলাদেশের হয়ে সংখ্যার দিক থেকে সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি ফিফটির মালিক। আগের রেকর্ডটি ছিল সাকিব আল হাসানের, যাঁর ফিফটির সংখ্যা ছিল ১৩টি। গত বুধবার লিটন এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠেছেন।
অবশেষে, শেষ ম্যাচে লিটন হাঁকিয়েছেন ৪টি ছক্কা। এর ফলে তিনি বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ডও নিজের করে নিলেন, এখন তার ছক্কার মোট সংখ্যা ৩১। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সমান সংখ্যক ছক্কা রয়েছে তার।
বাংলাদেশ এই সিরিজ জিতেছে, আর এই জয় সঙ্গে সঙ্গে লিটন দাসের জন্য আরও এক নজির স্থাপন করেছে। তিনি বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে টানা তৃতীয় সিরিজে জয় অর্জনের রেকর্ড তৈরি করেছেন, যা আগে কেউ করতে পারেননি।
যদিও লিটন নিজে এসব রেকর্ডের সম্পর্কে খুব বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন না। ম্যাচ শেষে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘আমি কখনো রেকর্ডের জন্য খেলি না। যদি রেকর্ডের কথা ভাবতাম, তাহলে অনেক ফিফটি মিস করে গেছি অ্যাটাকিং ক্রিকেট খেলতে গিয়ে। যদি আমি রেকর্ডের দিকে মনোযোগ দিতাম, হয়তো সেই সময় নিজের মতো করে রেকর্ড গড়ার চেষ্টা করতাম।’