আর্জেন্টিনায় হয়তো আরো কিছু ম্যাচ খেলতে পারেন লিওনেল মেসি, তবে আর্জেন্টিনার মাটিতে তার نهاية প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচটি এটাই হতে যাচ্ছে। এই উপলক্ষে সম্পূর্ণ আর্জেন্টিনাই উৎসবে মেতে উঠেছে, কারণ এই ম্যাচটি তার ক্যারিয়ারের শেষ স্থানে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় যোগ করবে। তবে এই ম্যাচে একটি দুর্দান্ত রেকর্ডের হাতছানি রয়েছে তার জন্য। মাঠে নামলেই গড়বেন তিনি নতুন এক ইতিহাস।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে তিনি এখন পর্যন্ত আর্জেন্টিনার পক্ষ থেকে ৭১টি ম্যাচ খেলেছেন, যা দক্ষিণ আমেরিকান বিশ্লেষণে এক নজিরবিহীন রেকর্ড। আজ ভোরে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে মাঠে নামলে তিনি এই রেকর্ডের কাছাকাছি পৌঁছে যাবেন। তিনি যদি এই ম্যাচে খেলেন, তবে তিনি হয়তো ছাড়িয়ে যাবেন ইকুয়েডরীয় কিংবদন্তি ডিফেন্সিভ খেলোয়াড় ইভান উর্তাদোর ৭২ ম্যাচের রেকর্ড। উর্তাদো তার ক্যারিয়ারে মোট পাঁচটি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে অংশ নিয়েছিলেন। এর মধ্যে ১৯৯৪, ১৯৯৮, ২০০২, ২০০৬ ও ২০১০ সালে তিনি এই রেকর্ডটি গড়েছিলেন।
এছাড়াও, মেসি ইতিমধ্যেই দক্ষিণ আমেরিকার বাছাইপর্বে সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার গোল সংখ্যা এখন ৩৪। এই বছর যদি তিনি ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে মাঠে নামেন এবং গোল করেন, তবে তিনি চলতি আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতাও হয়ে উঠবেন। বর্তমানে এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন কলম্বিয়ার স্ট্রাইকার লুইস দিয়াস, যিনি ৭ গোল করেছেন; আর মেসির গোল সংখ্যা সমান ৬।
ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে এই ম্যাচের জন্য মেসি খুবই উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেছেন, ‘ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে এই ম্যাচই আমার জন্য খুবই বিশেষ হবে। কারণ এটি আমার জন্য আর্জেন্টিনায় আয়োজিত বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচ। এই মুহূর্তে আমার পরিবার, স্ত্রী, সন্তান, বাবা-মা ও ভাই-বোনরা আমার সাথে থাকবেন। এটি আমার জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও আবেগময় একটি স্মৃতি।’
মাঠে নামার আগেই তিনি নতুন এক রেকর্ডের সামনে থাকছেন। গোল করলে সেই সফলতার সঙ্গে আরও এক বড় কৃতিত্ব যোগ হবে তার। এই ম্যাচটি আর্জেন্টিনায় তার ক্যারিয়ারের শেষ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে।
মেসির বিদায়ী ম্যাচের আগে তার জন্য রয়েছে বিশেষ এক জার্সি, যার পেছনে লেখা রয়েছে এক ইতিহাসের গল্প। গার্সিয়া, যিনি ২০০৬ সালে প্রথমবারের মতো জার্মানিতে বিশ্বকাপে তার সহকারী ছিলেন, সেই সময় থেকে তার সাথে পরিচয়। সেই সূত্রে গার্সিয়া আজও তার বন্ধু। গার্সিয়া তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখেছেন, ‘২০০৬-২০২৫। অনেক বছর পেরিয়েছে, কিন্তু তুমি এখনও একই সুন্দর মানুষ।’ গার্সিয়া তার আরেকটি ছবি শেয়ার করেছেন, যেখানে দেখা যায় মেসি তাকে একটি সই করা আর্জেন্টিনা জার্সি ও অধিনায়কের আর্মব্যান্ড উপহার দিয়েছেন। গার্সিয়া লিখেছেন, ‘আমরা তোমাকে অনেক মিস করব।’
এদিকে, ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে এই ম্যাচটি মেসির জন্য এক বিচিত্র আবেগঘন মুহূর্ত। এটি হতে যাচ্ছে তার আর্জেন্টিনার জার্সিতে শেষ বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচ। এরপর, ৯ সেপ্টেম্বর ইকুয়েডরের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটিও খেলবেন তিনি। তবে তা পরে; কারণ এখনো আন্তর্জাতিক ফুটবলের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ বাকি রয়েছে, যেমন যুক্তরাষ্ট্রে ভেনেজুেলা ও পুয়ের্তো রিকোর প্রীতি ম্যাচ আসন্ন। পাশাপাশি যোগ হয়েছে ২০২৬ সালের বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি, যা আয়োজন צפিত হচ্ছে স্পেন, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায়। এই সব মিলিয়ে, মেসির ক্যারিয়ারের এই দীর্ঘ যাত্রায় তা সত্যিই এক ইতিহাসের অধ্যায়।