মূল্যস্ফীতি এবং নতুন শুল্কের চাপ সত্ত্বেও চলতি উৎসব মৌসুমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্রেতাদের কেনাকাটা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেছে। অ্যান্ডোবি অ্যানালিটিকসের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, দেশের 온라인 বাজারে এই বছর ক্রেতারা মোট ১ হাজার ১৮০ কোটি ডলার খরচ করেছেন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ১ শতাংশ বেশি। তবে বিশ্লেষকরা মনে করেন, মূল্যস্ফীতি হিসাব করলে আসল বৃদ্ধি এর চেয়ে কমে থাকতে পারে।
বিকল্প হিসেবে, ছুটির মরসুমে চাপ সামলাতে মার্কিন ডাক পরিষেবা কর্মীরা কাজের চাপে আছে। লস অ্যাঞ্জেলেসের কেন্দ্রের কর্মীরা ঘণ্টায় প্রায় ১০,০০০ পার্সেল পাঠানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সংস্থার ডিস্ট্রিবিউশন বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার জর্জ ব্যাংকস বলেন, ‘প্রতিটি মেশিন ঘণ্টায় প্রায় ১০ হাজার পার্সেল প্রক্রিয়াজাত করতে সক্ষম।’
জীবনযাত্রার খরচ বেড়ে যাওয়ায় মার্কিন ক্রেতারা এখন খুবই সচেতন। তারা এমন দোকান খুঁজে আছেন যেখান থেকে তুলনামূলক কম দামে পণ্য পেতে পারেন। এর ফলস্বরূপ, অনলাইনে কেনাকাটার পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বড় ব্র্যান্ডগুলো চাপের মধ্যে পড়ছে।
ফ্যাশন ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির শিক্ষক ম্যারি এপনার বলেন, ‘এ বছর ব্ল্যাক ফ্রাইডে উইকএন্ডের অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে আলাদা। শুল্কের বৃদ্ধি মূলত ভোগান্তি বাড়িয়েছে, ফলে ব্র্যান্ডগুলো মূল্য গ্রাহকদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। ফলে ক্রেতারা এখন অনলাইনে ঝুঁকছেন বেশি।’
অ্যাডোবি অ্যানালিটিকসের তথ্যানুযায়ী, ব্ল্যাক ফ্রাইডে ও তার পরের সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনলাইন কেনাকাটা গত বছরের তুলনায় ৯ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। অনেক ক্রেতা এআই চ্যাটবট ব্যবহার করে অফার খোঁজা ও পণ্যের দাম তুলনা করেছেন।
ম্যারি এপনার বলছেন, ‘ভোক্তাদের মধ্যে এখন সবচেয়ে বেশি চাহিদা ছিল কিভাবে ফ্রি গিফট পাবে, ফাইন্যান্সিং কিংবা পরে মূল্য পরিশোধের সুযোগ। এসব বিষয় এই সময়ে ক্রেতাদের আকর্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
ন্যাশনাল রিটেইল ফেডারেশনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, নভেম্বর-ডিসেম্বরে মার্কিন বাজারে বিক্রি অন্তত ৩.৭ থেকে ৪.২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। এর মাধ্যমে মোট বিক্রির পরিমাণ পৌঁছতে পারে ১ ট্রিলিয়ন ডলারে।














