ঢাকা | বুধবার | ১০ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৯শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

জাতীয় সংগীত গাইতে গাইতে ট্রাইব্যুনাল ছাড়লেন পলকসহ অন্য আসামিরা

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ড এবং গণহত্যার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সোমবার (৮ ডিসেম্বর) ১৬ জনকে কারাগারে পাঠের আদেশ দিয়েছে। মামলায় সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপদেষ্টা ও অন্যান্য আসামিরা রয়েছেন। আদালত শেষ হওয়ার সময় দুপুরে, প্রিজনভ্যানে ওঠার মুহূর্তে এক নাটকীয় দৃশ্যের সৃষ্টি হয় যখন সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ট্রাইব্যুনাল ছাড়ার সময় জাতীয় সংগীত গাইতে শুরু করেন। তার সঙ্গে বাকিরা তাদের সুর মিলিয়ে গান ধরেন।

সকাল থেকেই কেরানীগঞ্জ ও কাশিমপুরসহ বিভিন্ন কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে এই উচ্চপর্যায়ের ১৬ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে মামলার অগ্রগতি পরিস্থিতি তুলে ধরতে বলা হয় এবং গাজী এমএইচ তামিম তদন্ত সমাপ্তির জন্য আরও দুই মাস সময়ের জন্য আবেদন করেন। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার দলীয় নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়।

আসামিদের মধ্যে ছিলেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিলার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, কামরুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, গোলাম দস্তগীর গাজী এবং সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। অসুস্থতার কারণে ফারুক খান আদালতে উপস্থিত হননি।

প্রসিকিউশন ইতোমধ্যে সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক, হাসানুল হক ইনু ও জুনাইদ আহমেদ পলকের বিরুদ্ধে পৃথক চার্জ দাখিল করেছে। জুলাই আন্দোলনে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে গণহত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী সজীব ওয়াজেদ জয় ও পলকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এছাড়া, কারফিউ জারির মাধ্যমে ছাত্র-জনতার হত্যার মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে শুনানি তারিখ ধার্য করা হয়েছে।

অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও যুবলীগ সভাপতিসহ সাতজনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এর মধ্যে চারজনের বিরুদ্ধে আগেই অভিযোগ দাখিলের কারণে তাদের অব্যাহতি চাওয়া হয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধে দ্রুতই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ বা ফরমাল চার্জ দাখিলের প্রস্তুতি চলছে।