ক্রাইস্টচার্চে জিততে হলে নিউজিল্যান্ডকে ঐতিহাসিক রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে রান তাড়ার নতুন নজির গড়তে হতো। তবে সেটা আর সম্ভব হয়নি। ২৩৭ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে তারা মাত্র ১৭১ রানে অলআউট হয়। এই অসাধারণ ইনিংসের ফলে ঘরোয়া মাঠে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৬৫ রানের বড় ব্যবধানে হেরে সিরিজেও পিছিয়ে পড়ে কিউইরা। প্রথম ম্যাচটি অনিবার্য কারণে পরিত্যক্ত হওয়ায়, সিরিজে সম্ভাব্য সমতায় ফেরার জন্য শেষ ম্যাচে তাদের জিততেই হবে। আগামী ২৩ অক্টোবর অকল্যান্ডে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
১৯৯৯ সালে নেপিয়ারে দ্বিতীয় ইনিংসে ২০১ রানের রেকর্ড গড়েছিল নিউজিল্যান্ড, যেখানে রব নিকোল এবং জেমস ফ্রাঙ্কলিনের জোড়া ফিফটিতে জিম্বাবুয়েকে হারানো হয়। সেই সময়ের এই রেকর্ড ভাঙার জন্য নিউজিল্যান্ডের কারো বড় ইনিংস খেলার প্রয়োজন ছিল। তবে দলীয় এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে কেউ ফিফটি করতে পারেননি। সর্বোচ্চ রান করেন ওপেনার সেইফার্ট, ৩৯ রান। শেষ দিকে অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনর ঝৈড়ো ইনিংস খেলেছেন, দ্রুত ২৪০ স্ট্রাইক রেটে ৩৬ রান করে হারের ব্যবধানটা কমানোর চেষ্টা করেন। তিনি ৩ ছয় ও ৩ চারে মোট ৩৬ রান করেন।
ম্যাচের শুরুতেই দলের ১৮ রানে আউট হন টিম রবিনসন ও রাচিন রবীন্দ্র। তবে সেইফার্ট এবং মার্ক চ্যাপম্যানের জুটি ৬৯ রান যোগ করে খেলায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আনে। এরপর দুজনের আউটের পর পথ হারায় কিউইরা। সপ্তম উইকেটে জুটি গড়েন জিমি নিশাম ও স্যান্টনার, ৫৭ রান তুলে ব্যবধান কমান। ব্রাইডন কার্স প্রথম উইকেট উদযাপন করেন, এরপর আদিল রশিদ তিনটি উইকেট নিয়ে আক্রমণ চালান। সবমিলিয়ে তিনি সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন। লুক উড ও লিয়াম ডাওসন প্রত্যেকে ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
অন্যদিকে, টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ক্রাইস্টচার্চের ব্যাটসম্যানরা ঝড় তুলেন। ওপেনার জস বাটলার (৪) দ্রুত ফিরলেও, ফিল সল্ট আউট হওয়ার আগে ৮৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। ১৫১.৭৮ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসটি তিনি ১ ছক্কা ও ১১ চারে সাজান। অধিনায়ক হ্যারি ব্রুক তার চেয়ে বেশি বিধ্বংসী ছিলেন। ২২২.৮৫ স্ট্রাইক রেটের ৭৮ রান করেন তিনি, যার মধ্যে ৫ ছয় ও ৬ চারের মার ছিল। দুজনের ফিফটির জুটিতে ১২৯ রান যোগ হয়, যা ইংল্যান্ডের বড় রান তাড়ার ইতিহাসে নতুন এক রেকর্ড। ম্যাচে তারা ৪ উইকেটে ২৩৬ রানের সংগ্রহ করে। যদিও রেকর্ড রান তাড়া করতে পারেনি নিউজিল্যান্ড, তবে একটি অন্য রেকর্ডের সাক্ষী হয়ে থাকল এই ম্যাচ—দুই দলের মোট ৪০৭ রান, যা এক ম্যাচে সর্বোচ্চ। আগে এই রেকর্ড ছিল ২০১৯ সালে নেপিয়ারে, যেখানে দুই দল ৪০৬ রান করে।