জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) শাপলা প্রতীক বরাদ্দের জন্য কোনো আইনি বাধা নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির উত্তরাঞ্চলীয় প্রধান সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেন, ‘আমরা এই বিষয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। নির্বাচন কমিশন একার পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে যেন কেউ তার প্রতি প্রভাব ফেলতে না পারে। নির্বাচন কমিশন যদি বলে যে, আইনের কোনো বাধা নেই, তাহলে তারা শাপলা প্রতীক দিয়ে এনসিপিকে প্রতীক বরাদ্দ করতে পারে। রোববার দিনাজপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভার শেষে এই মন্তব্য করেন তিনি।
সারজিস আলম আরও বলেন, ‘যখন একটি নির্বাচন কমিশন একটি রাজনৈতিক দলকে তাদের প্রাপ্য মার্কা দেয়ার সাহস দেখাতে পারে না, তখন বোঝা যায় যে ওই নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন বাংলাদেশে সম্ভব নয়। আমরা আশা করি, আমাদের দল এনসিপি নিয়েই আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে এবং শাপলা প্রতীক পাবে। যদি এর সাথে অন্যায় করা হয়, তাহলে আমরা রাজনৈতিকভাবেই তার মোকাবেলা করব।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি উল্লেখ করেন, ‘জুলাই ২০২৩ সালে বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দল রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছিল। বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে তারা নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করছিল। তখন অনেক রাজনৈতিক অফিসের সামনে খুব ক’জন মানুষ দাঁড়ানোর মতো ছিল না। তবে তখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল জনগণের আস্থা। এখন যদি এই আস্থা মিথ্যা হয় বা অবমূল্যায়িত হয়, জনগণ তাদের অবমূল্যায়িত ভাবিয়ে ভবিষ্যতেও বদলা নেবে। আমাদের স্পষ্ট বার্তা, ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিন। জুলাইয়ের সনদ বা ঘোষণা আপনি চাইতে পারেন, কিন্তু আমরা মানি না কোনো নামকরা কাগজের আড়ালে থাকা ‘নাম’ দিয়ে।
এর আগে, তিনি জেলা এনপিসির সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন জেলা এনপির প্রধান সমন্বয়কারী ফয়সনাল করিম সোয়েব। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ও রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ড. আতিক মুজাহিদ এবং কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ডা. মো. আব্দুল আহাদসহ অন্য নেতৃবৃন্দ।