ঢাকা | রবিবার | ১৬ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

কাপ্তাইয়ে মারমা নারীর গণধর্ষণের ঘটনায় পিসিসিপির বিক্ষোভ

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় এক প্রতিবন্ধী মারমা নারীকে স্বজাতি তিন যুবকের হাতে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিচার ও সামাজিক বিবেচনায় প্রথাগত প্রতিকার না দিয়ে ঘটনা ঢাকতে চাইলেও তা মানতে না পেরে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) রাঙামাটি জেলা শাখা আজ মঙ্গলবার একটি বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।

সোমবার বিকেলে রাঙামাটি শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এই বিক্ষোভে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের জেলা সভাপতি তাজুল ইসলাম, যিনি বলেন, এই ঘটনা বর্বর এবং বৃদ্ধির জন্য দায়ীদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনার দাবি উঠে এসেছে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা সঙ্গঠনের সভাপতি তাজুল ইসলাম এবং সঞ্চালনা করেন জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ মোশাররফ হোসেন।

বক্তারা জানান, চট্টগ্রামের চিৎমরম ইউনিয়নের চঙড়াছড়ি মুখ গ্রামে এক প্রতিবন্ধী মারমা নারীকে তিন স্বজন—অনুচিং মারমা (৫০), কালা মারমা (৫৫) ও মং উ মারমা (৩৫)—গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে। ধর্ষণের ফলে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন। এ ঘটনার পরও ওই এলাকায় সামাজিক বিচারে অভিযুক্তদের জন্য ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। আশ্চর্যের বিষয়, একই বিচারে ভিকটিমের মতামত না গ্রহণ করে তাকে ‘সমাজের নিয়ম ভঙ্গের’ দায়ে ৫ হাজার টাকাও জরিমানা করা হয়।

সংগঠনের সভাপতি তাজুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনা আমাদের সমাজে নারীর প্রতি অবিচার এবং নির্যাতনের চরম উদাহরণ। তিনি বলেন, এই অপরাধীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিতের জন্য প্রশাসনের তীব্র দাবি জানানো হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এই ঘটনার পরেও প্রভাবশালী কিছু রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন এই অপরাধের নিন্দা জানায়নি, যার মাধ্যমে স্পষ্ট হয় যে, পাহাড়ে মানবাধিকারের বিষয়টি প্রায়ই রাজনীতি বা স্বার্থের ছায়ায় চাপা পড়ে যায়।

সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানায় এবং প্রতিবন্ধী নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করে। তারা বলেন, এই ধরনের নৃশংসতা আর সহ্য করা হবে না এবং দায়ীদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেটি নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।