ঢাকা | মঙ্গলবার | ২১শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৯শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

রুহুল কবির রিজভীর বলেছিলেন, জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে হওয়া ছাড়া উপায় নেই

বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন এবং গণভোট একসঙ্গে করার প্রয়োজনীয়তা আবারও জোরালোভাবে উল্লেখ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল বুধবার নয়াপল্টনে একটি ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, এই দুই গুরুত্বপূর্ণ process একসঙ্গে না করলে দেশের রাজনৈতিক সংকট সমাধান হবে না। যদি গণভোট আগে হয়, তবে জাতীয় নির্বাচনের সময় টালমাটাল হয়ে যেতে পারে এবং সরকারের দেরিতে আসা বা স্থায়ী না হওয়ার কারণে পরিস্থিতি আরও গুরুতর হতে পারে বলে তিনি সতর্ক করে দেন। তিনি বলেন, যারা গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন, তারা যেন একটি স্থির জায়গায় পৌঁছাতে পারেন, যাতে ভবিষ্যতের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা বিঘ্নিত না হয়। অন্যথায়, অন্ধকারের শক্তি ঢুকে পড়তে পারে, যা দেশের স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। রিজভী বলেন, উন্নত দেশগুলোও দীর্ঘদিনের গণতন্ত্রচর্চার মধ্যেও এখন এই ইস্যু নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, জাপানসহ অধিকাংশ গণতান্ত্রিক দেশের প্রভাবশালী অংশ পিআর পদ্ধতি চালু থাকলেও, সেখানে প্রতি শতকরা ৩৭ ভাগ ভোটারপ্রার্থী পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচিত হন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন আমাদের দেশে হঠাৎ করে এই পদ্ধতি চালু করার চিন্তা হচ্ছে, যেখানে সারাবিশ্বে এই পদ্ধতির বিস্তার এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। এ বিষয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ও অজানা আধিপত্য রয়েছে বলে তিনি মনে করেন। রিজভী বলেন, বিশ্বের বেশিরভাগ উন্নত গণতান্ত্রিক দেশ যেমন ব্রিটেন ও আমেরিকায় সরাসরি ভোটের মাধ্যমে প্রার্থীরা নির্বাচিত হন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আমাদের দেশে পিআর পদ্ধতি কি সত্যিই উত্তম গণতন্ত্রের মডেল? এই প্রশ্নকে তিনি অবান্তর দাবি করে, এটি যেন বিভ্রান্তি ছড়ানোর একটি অপচেষ্টা। তিনি আরও বলেন, কিছু অপশক্তি এই বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করছে কি না, সেটি খতিয়ে দেখা দরকার।