এক জাকজমকপূর্ণ আয়োজনের মাধ্যমে ৫ম জাতীয় স্কোয়াশ চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫ এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে বৃহস্পতিবার বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির জুলকান ইনডোর এরেনায়। এই প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন বিভাগে বিজয়ীরা তাদের প্রতিভা ও দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন। মেয়েদের শাখায় অনুর্ধ ১৩ গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন অনুরোধালা সুলতানা, অনুর্ধ ১৫ গ্রুপে মায়ানুর, উন্মুক্ত মহিলা গ্রুপে চাঁদনী সরকার। ছেলেদের শাখায় অনুর্ধ ১৩ গ্রুপে শাহীর্ন নাফিজ, অনুর্ধ ১৫ গ্রুপে মেহেদি হাসান, পুরুষ উন্মুক্ত গ্রুপের শাখায় জিতেছেন শাহাদাৎ হোসেন। পাশাপাশি মেম্বার গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে গেরেসচর্গামী ক্লাবের ফজলে ওয়ালি ও বিশেষ পুরস্কার জিতেছেন ঢাকা স্কোয়াশ একাডেমির জিহাদ। বিজয়ীদের হাতে ট্রফি তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মাহবুব-উল-আলম।
প্রধান অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মাহবুব-উল-আলম। তিনি খেলাধুলার পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ডে বসুন্ধরা গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতার প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে আরও বেশি সমর্থনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় স্পোর্টস কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক কাজী নজরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্কোয়াশ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ব্রিগেডিয়ের জেনারেল জি এম কামরুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্যগণ, বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির পরিচালক মেজর (অব:) মোহসিনুল করিম ও অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রাক্তন ও বর্তমান খেলোয়াড়সহ নানা গোষ্ঠীর অভিভাবকগণ।
চার দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতা শুরু হয় ১৩ অক্টোবর, যা উদ্বোধন করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া।
প্রধান অতিথি বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ শুধুমাত্র ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড নয়, খেলাধুলা ও সামাজিক কার্যক্রমেও সক্রিয় রয়েছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, ভবিষ্যতে অন্যান্য খেলাধুলার মতো স্কোয়াশকেও আরও সমর্থন দেওয়া হবে। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জানান, স্বল্প সম্পদ, নিজস্ব কোর্টের অভাবসহ নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যেও তারা গত পাঁচ বছরে মোটিভেশন ও পরিকল্পনা অনুযায়ী আস্তে আস্তে উন্নতি করছে। তিনি আরও বলেন, আগামী এসএ গেমসে আমাদের লক্ষ্য মানসম্পন্ন দল পাঠানো ও পদক জয়। বাংলাদেশ স্কোয়াশের ভবিষ্যত উজ্জ্বল করতে তাদের দৃঢ় প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
