ঢাকা | রবিবার | ১৯শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৭শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

‘জুলাই সনদ’ বাংলাদেশের রাজনৈতিক ঐক্য ও সংস্কারের মাইলফলক: ইইউ

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়ের সূচনা করল ‘জুলাই সনদ’ স্বাক্ষর। এটি দেশের রাজনীতিতে ঐক্য ও সংস্কারের পথে এক বড় ধরনের অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, এটি ভবিষ্যৎ নির্বাচন, অর্থাৎ ২০২৬ সালের নির্বাচনের প্রস্তুতিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে।

শুক্রবার এক ফেসবুক পোস্টে মিলার লিখেন, ‘জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে আমি খুবই ভালো লাগছে। এই দলিলটি মূলত রাজনৈতিক দলগুলো ব্যাপকভাবে গড়ে তুলতে সহায়তা করেছে, যা মৌলিক সংস্কার বিষয়ে ঐক্য ও সম্মতির প্রতিফলন।’ তিনি আরও বলেন, এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালাবদলের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত, যেখানে দেশটি একসাথে এগিয়ে যাচ্ছে—এটাই এর প্রমাণ।

‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ এর স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলো, যার মধ্যে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীও রয়েছে, মোট ২৫টি দল এই ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগে অংশগ্রহণ করে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা এবং শাসনব্যবস্থার সংস্কারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতা আরও দৃঢ়প্রতিষ্ঠিত হলো।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন দীর্ঘদিন ধরেই সুশাসন প্রতিষ্ঠা, প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদিহিতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছে। সম্প্রতি তারা আবার ঘোষণা করেছে, বাংলাদেশে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে তাদের সমর্থন অব্যাহত থাকবে। এর জন্য তারা কারিগরি সহায়তা প্রদান এবং প্রয়োজন হলে নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে। এসব উদ্যোগ দেশের গণতান্ত্রিক উন্নয়ন ও টেকসই সমৃদ্ধির প্রতি ইইউর প্রতিশ্রুতির প্রমাণ।