বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন জানান, সরকার ভিসা ফি প্রদানের প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণরূপে ডিজিটালাইজড করছে এবং সমগ্র ভিসা নীতিমালা সংশোধনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিচ্ছে। তিনি বলেন, বর্তমানে এই প্রক্রিয়াকে অনলাইনে পরিশোধের জন্য ডিজিটাল করার কাজ চলমান। এর ফলে আবেদনকারীরা ঘরে বসেই সহজে ভিসা ফি পরিশোধ করতে পারবেন, ফলে শারীরিক উপস্থিতির প্রয়োজন হবেনা। বুধবার রাজধানীতে বিডার মাল্টিপারপাস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘ওয়ার্ক পারমিট ও সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স প্রসেস’ শীর্ষক কর্মশালার সভাপতির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। চৌধুরী আশিক মাহমুদ বলেন, সরকার ভিসা নীতিমালার ব্যাপক সংস্কারে কাজ করছে, যাতে দীর্ঘদিন ধরে সামগ্রিক সমস্যাগুলির সমাধান করা যায়। তিনি আরও জানান, ১ অক্টোবর থেকে অনলাইন সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স প্রক্রিয়াটি চালু হয়েছে। আগে যেখানে ৩৪টি নথি জমা দিতে হত, সেখানে এখন তা কমিয়ে ১১টিতে আনা হয়েছে, যা একটি বড় অগ্রগতি। এটি বিভিন্ন দপ্তর থেকে নথি চাওয়ার ঝামেলা কমিয়েছে। বিডা চেয়ারম্যান জোর দিয়ে বলেন, সরকারের সব কার্যক্রমে জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় গুরুত্ব পায় এবং এর সঙ্গে আপসের কোনও সুযোগ নেই। তিনি বলেন, আমরা এমন কিছু করতে চাই না যা জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রশ্ন তোলে বা বিপদ সৃষ্টি করে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিডার লক্ষ্য সব সময় এক হয় এবং তারা সচেতনভাবে কাজ করছে। তিনি আরো বলেন, আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হলো— সকল সংস্থা যেন নিরাপদে ও সমন্বিতভাবে কাজ করে এবং দেশের স্বার্থ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সমস্যা সমাধান করে। কর্মশালায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিডা তাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. দেলোয়ার হোসেন ও বিডা মহাপরিচালক মো. আরিফুল হক বক্তব্য দেন। আরিফুল হক জানিয়েছেন, এই কর্মশালায় ইমিগ্রেশন, পাসপোর্ট বিভাগসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর তথ্য ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, সকল সংস্থা এক পরিবারের সদস্য হিসেবে একই উদ্দেশ্যে কাজ করছে। পাশাপাশি তিনি কর্মকর্তাদের আহ্বান জানিয়েছেন, তারা যেন তাদের অভিজ্ঞতা ও সমস্যা নিয়মিতভাবে ভাগ করে নেন, কারণ এসব তথ্য ভবিষ্যত সিদ্ধান্ত গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
