ঢাকা | বৃহস্পতিবার | ১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৪শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন ট্যারিফ কার্যকর

এক মাসের স্থগিতাদেশের পর অবশেষে চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন বর্ধিত ট্যারিফ কার্যকর করা হয়েছে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে। এই নতুন ট্যারিফের আওতায় বন্দরে আগত সমস্ত জাহাজ, কনটেইনার ও কার্গো বিলের খরচ নতুন করে নির্ধারণ করা হয়েছে। জানুয়ারি ১৫ তারিখে এ সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেয়া হয়েছিল, যা এখন কার্যকরণে এসেছে।

বন্দর কর্তৃপক্ষের অর্থ ও হিসাবরক্ষণ বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুস শাকুর স্বাক্ষরিত এক নোটিশে জানানো হয়েছে, এই বর্ধিত ট্যারিফ অগাস্ট ১৫ থেকে কার্যকর হবে। বন্দরের শিপিং এজেন্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা তফসিলি ব্যাংকে নতুন হারে অর্থের সংস্থান করে জাহাজের প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র বা এনওসি সংগ্রহ করবেন।

বন্দর সূত্র জানায়, বর্তমানে বন্দরে মোট ৫২টি সেবা খাতের মধ্যে প্রায় ২৩টিতে এই নতুন ট্যারিফ প্রযোজ্য হবে। সাধারণত এই হার গড়ে ৪১ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে কন্টেনার হ্যান্ডলিং খাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিটি ২০ ফুটের কন্টেনারের জন্য ট্যারিফ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ হাজার ২৪৩ টাকা, যা আগে ছিল ১১ হাজার ৮৪৯ টাকা। এর মানে গড়ে প্রায় ৩৭ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি। এছাড়াও, আমদানিকৃত কন্টেনারে ৫ হাজার ৭২০ টাকা এবং রপ্তানির কন্টেনারে ৩ হাজার ৪৫ টাকা বেশি দিতে হবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ভাড়া, টোল, ফি ও মাশুল ডলার এর বিনিময় মূল্যের ভিত্তিতে আদায় করা হবে। বর্তমানে ডলার প্রতিটি ১২২ টাকায় নির্ধারিত, ফলে যদি ডলারের মূল্য বাড়ে, তাহলে ট্যারিফও স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাড়বে।

প্রসঙ্গত, ১৪ সেপ্টেম্বর রাতেই চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের বর্ধিত ট্যারিফ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছিল। তবে বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের আপত্তির কারণে নৌপরিবহন উপদেষ্টার নির্দেশে সেটি এক মাসের জন্য স্থগিত করা হয়।

অবশেষে, এক মাসের স্থগিতাদেশের পর ১৩ অক্টোবর রাত থেকে নতুন ট্যারিফ কার্যকর করা হয়েছে। বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, ১৯৮৬ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে প্রথমবারের মতো মাশুলের হার বাড়ানো হয় এবং এর পর ৩৯ বছর পরে এই হার আবার বাড়ানো হয়েছে। তিনি যোগ করেন, ‘অপারেশনাল খরচ, রক্ষণাবেক্ষণ ও আধুনিকায়নের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’