ঢাকা | বুধবার | ১৫ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৩শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

গণহত্যার পরও ইসরায়েলকে সমর্থন জানালেন নোবেল বিজয়ী মাচাদো

দুই বছর ধরে গাজায় নৃশংস গণহত্যা চালানোর পরও ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছেন সদ্য ঘোষিত শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ভেনিজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদো। তিনি সম্প্রতি ইসরায়েলের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই সমর্থন ব্যক্ত করেন। সাক্ষাৎকারে মাচাদো বলেন, আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে একদিন ভেনিজুয়েলা ও ইসরায়েলের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠবে। এটি আমাদের পক্ষ থেকে ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রতি সমর্থনের এক অংশ। আমি বিশ্বাস করি এবং ঘোষণা করতে চাই যে আমাদের সরকার ভবিষ্যতে ইসরায়েলে ভেনিজুয়েলার দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তর করবে।

বলা মহল মনে করে, দীর্ঘদিনের জন্য দেশের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়ের স্বীকৃতি হিসেবে মাচাদোকে এই শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। নোবেল কমিটি তাদের বিবৃতিতে জানায়, যখন স্বৈরশাসকরা ক্ষমতা দখল করে তখন স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়ে এগিয়ে থাকা সাহসী ব্যক্তিদের স্বীকৃতি দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে তৎকালীন ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হুগো শ্যাভেজের সময়ে গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদে ভেনিজুয়েলা ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং দেশ থেকে ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে মাচাদো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্যারিবীয় অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়ে আলোচনায় আসেন। বর্তমানে ৫৮ বছর বয়সী এই শিল্পপ্রকৌশলী গোপনে বাস করছেন। ২০২৪ সালে আদালতের রায়ে তাঁকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়।