বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গত সেপ্টেম্বর ২০২৫ সালে দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা ও অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে মোট ১৭১ কোটি ৬০ লাখ ৫১ হাজার টাকার বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান পণ্য উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এই অভিযানে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ, রূপা, পোশাক, তৈরী পোশাক, কাপড়, কসমেটিক্স, ইমিটেশন গহনা, আতশবাজি, কাঠ, চা পাতা, সুপারি, কয়লা, পাথর, বালু, জাল, মোবাইল ও মোবাইল ডিসপ্লে, চশমা, যানবাহনের যন্ত্রাংশ, জিরা, চিনি, পিয়াজ, রসুন, সার, বীজ, কীটনাশক, ডিজেল, চকোলেট, ভারতীয় রূপি, মার্কিন ডলার, গরু-মহিষ, ট্রাক-ভ্যান, পিকআপ, ট্রাক্টর, গাড়ি, ট্রলি, নৌকা, সিএনজি, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেলসহ অন্যান্য অনেক মালামাল জব্দ করা হয়।
অতিরিক্তভাবে, এই মোজায় বিজিবি বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ও নেশাজাতীয় দ্রব্যও উদ্ধার করেছে। এতে রয়েছে বিশাল আকারে ইয়াবা, হেরোইন, ফেনসিডিল, বিদেশী ও বাংলা মদ, বিয়ার, গাঁজা, বিড়ি-সিগারেট, তামাক পাতা, নেশাজাতীয় ট্যাবলেট, ইস্কাফ সিরাপ, এ্যানেগ্রা, সেনেগ্রা, এম কফিডিলসহ বিভিন্ন ধরনের অসাধু মাদক।
বর্তমানে, সীমান্তে অভিযানের ফলাফল হিসেবে, ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদক পাচার ও চোরাচালানে যুক্ত থাকার অভিযোগে ১৯৮ জন চোরাচালানী ও ১,১৯৭ জন বাংলাদেশী নাগরিককে আটক করা হয়েছে। এছাড়া, অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৯ জন ভারতীয় নাগরিককে আটক করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি, সীমান্ত পার হতে চেষ্টাকরত ৮০৫ বাংলাদেশি নাগরিককে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই সকল অভিযান ও আটক কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের সীমান্ত নিরাপত্তা ও অবৈধ পাচার রোধে বিজিবির অব্যাহত তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।