বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘জুলাই সনদকে আমরা ইতিবাচকভাবে মূল্যায়ন করছি।’ গতকাল শুক্রবার রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও ফাতেহা পাঠের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
রুহুল কবির রিজভী জানান, আগামী ১৫ অক্টোবর স্বাক্ষরিত হতে যাওয়া জুলাই সনদকে দলটি ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছে। তিনি আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনার মাধ্যমে এই সনদ সম্পর্কিত সব অনিশ্চয়তা কাটিয়ে দ্রুতই একটি গ্রহণযোগ্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব। বলেন, ‘গণতন্ত্রে বিশ্বাস থাকলে আলোচনা ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে যৌক্তিক সমাধানে পৌঁছানো যায়। আমরা বিশ্বাস করি, জুলাই সনদ নিয়ে একটি ইতিবাচক রাজনৈতিক সমঝোতা হবে।’
অতঃপর দেশের রাষ্ট্রীয় পরিস্থিতি ও রাজনীতির ব্যাপারে তারেক রহমানের সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দেয়া বক্তব্যের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা দেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান দীর্ঘ ১৭ বছর পর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বক্তব্য দেন। তার কথায় কোনোভাবে দলীয় পক্ষপাত বা প্রকারান্তরে বিরোধীদের প্রতি কঠোরতা দেখা যায়নি। বরং তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন, দেশের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বা অন্যায়কারী ব্যক্তিদের আইনি পথে বিচার করতে হবে। তিনি ঐক্য ও সংহতির বার্তা দিয়েছেন, যার মাধ্যমে দেশের সংকটময় পরিস্থিতি মোকাবেলার পথে দৃঢ়তা প্রকাশ পেয়েছে।’
বিএনপির এ মুখপাত্র আরও বলেন, তারেক রহমানের বক্তব্য বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায় যে মূল লক্ষ্যই হলো দেশের মধ্যে প্রকৃত ঐক্য সৃষ্টি করা। সামাজিক সংহতি, প্রাজ্ঞ সমাজ ও সাধারণ জনগণের মধ্যে তার আশাবাদী ও গঠনমূলক বার্তা ছিল ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য।
কৃষি খাতের প্রসঙ্গে রিজভী উল্লেখ করেন, তারেক রহমানের ৩১ দফা প্রস্তাবের অন্যতম গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে কৃষি কাজের উন্নয়ন। তিনি বলেন, দেশের কৃষকরা আজ তাদের পণ্যটির ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। এ জন্য অ্যাগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশকে (এ্যাব) কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। দলীয় নেতা হিসেবে তিনি নির্দেশ দেন, এমন নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে যাতে কৃষকদের স্বার্থ সংরক্ষণ হয় ও দেশের জনগণ উপকৃত হয়। তিনি এ ব্যাপারে বলেন, ‘এ সব নির্দেশনা ও অনুপ্রেরণা আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান থেকে এসেছে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নবগঠিত অ্যাবের আহ্বায়ক কৃষিবিদ কামরুজ্জামান ও সদস্য সচিব কৃষিবিদ শাহাদাৎ হোসেন বিপ্লব।