ঢাকা | সোমবার | ১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

দিয়া মির্জা বললেন, মুসলিম পরিবারে বড় হয়েছি ও পরিবেশে সচেতনতা প্রসঙ্গে

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী দিয়া মির্জা জানিয়েছেন যে তিনি মুসলিম পরিবারে বড় হয়েছেন। তার মা একজন বাঙালি, এবং বাবার পরিচয় ছিলেন জার্মান নাগরিক। দিয়া মির্জা belirtেছেন, যখন তার বয়স ছিল কেবল ৯ বছর, তখন তার বাবা মারা যান। এরপর তাকে দত্তক নেওয়া হয় একটি মুসলিম দম্পতির দ্বারা। এই পরিবারে তিনি সবসময় তার দত্তক পিতার পদবি নিজের নামের সঙ্গে ব্যবহার করে আসছেন।

সম্প্রতি কলকাতায় একটি পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আয়োজিত আলোচনসভায় অংশ নিয়ে দিয়া মির্জা এই ব্যাপারে কথা বলেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি গত ১০ বছর ধরে প্লাস্টিকের কোনোকিছুই ব্যবহার করি না যাতে পরিবেশের ক্ষতি হ্রাস হয়।’

দিয়া মির্জা বলেন, তাঁর পরিবারে মুসলিম শিক্ষার প্রভাব স্পষ্ট। তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমার মা বাঙালি হওয়ায় আমি স্পষ্ট বাংলা বলতে পারি। আমার বাবা ছিলেন জার্মান, খ্রিস্টান। ৯ বছর বয়সে বাবাকে হারিয়েছি। এরপর আমি বড় হয়েছি একটি মুসলিম পরিবারের মধ্যে। তারা আমাকে দত্তক নিয়েছিল, সেই পরিবারের শিক্ষাই আজ পর্যন্ত আমি বহন করে চলেছি।’

অভিনেত্রী আরও জানান, তিনি জীবনে অপ্রয়োজনীয় ব্যক্তিত্ব বা সম্পর্ক রাখতে চান না। তিনি শিখেছেন কখন, কাকে ‘না’ বলতে হয়। দিয়া মির্জা বলেন, ‘মুসলিম পরিবার বললেই অনেকের মনে হয়—মেয়েরা কথা বলতে পারে না। কিন্তু আমি পারি। আমি আমার পরিবারের থেকে শিখেছি, অপ্রয়োজনীয় কাউকেই জীবনেই স্থান দিতে চান না। তা বন্ধু হোক বা অন্য কোনো সম্পর্ক। আমার ১৬ বছরের কন্যা, যাকে আমি বিবাহের মাধ্যমে পেয়েছি, তার সঙ্গে আমি সব বিষয়ে আলোচনা করি। ওকে আমি শিখিয়েছি, নিজের সিদ্ধান্তে ‘না’ বলাটা কখনোই দোষের কিছু নয়।’