ঢাকা | মঙ্গলবার | ১১ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

ইসরায়েলের ইয়েমেনে হামলা: নিহত ৩৫, আহত অসংখ্য

ইয়েমেনের রাজধানী সানা এবং আল-জাওফ প্রদেশে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ১৩১ জন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ হামলা বুধবারের মধ্যে চালানো হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, যা এই অঞ্চলের গৃহযুদ্ধের মধ্যে নতুন এক সংকট সৃষ্টি করেছে। একদিন আগে কাতার রাজধানী দোহায় হামাস নেতাদের ওপর ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠে।

ইয়েমেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আলজাজিরা জানায়, এই হামলায় সানার আল-তাহরির এলাকার একটি আবাসিক ভবনসহ একটি চিকিৎসা কেন্দ্র এবং আল-জাওফ প্রদেশের রাজধানী আল-হাজমের সরকারি ভবন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ধ্বংসস্তূপের ভিতরে অনেক মানুষ আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

হুথি নিয়ন্ত্রিত আল-মাসিরাহ টিভি দাবি করেছে, এ হামলার লক্ষ্য ছিল দক্ষিণ-পশ্চিমের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ও আল-হাজমের সরকারি দপ্তর। এই হামলায় বহু মানুষ আহত ও নিহত হয়েছেন।

হুথি মুখপাত্র ইয়াহইয়া সারে জানিয়েছেন, তারা ইসরায়েলি বিমান হামলা প্রতিহত করতে সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ব্যবহার করেছেন। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাহায্যে কিছু ইসরায়েলি বিমানকে বাধ্য করা হয় পিছুহটতে। তিনি বলেন, ‘আমাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একাধিক সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল নিক্ষেপ করে জামিনবাদী আগ্রাসনের মোকাবিলা করেছে।’

অপরদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমানবাহিনী সানা ও আল-জাওফে হুথি গোষ্ঠীর সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। লক্ষ্য ছিল হুথিদের সামরিক শিবির, যোগাযোগ কেন্দ্র ও জ্বালানি গুদাম।

প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে বলেন, ‘রামন বিমানবন্দরের হুথি ড্রোন হামলার প্রতিশোধে এ আঘাত করা হয়েছে।’ তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আরো বলেন, ‘যারা আমাদের আক্রমণ করবে, আমরা তাদের খুঁজে বের করব এবং জবাব দেব।’