ঢাকা | বুধবার | ১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

চবিতে ৫ দফা দাবি নিয়ে বিক্ষোভ ও মিছিল

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে অপরাধীদের গ্রেপ্তার, বিচার বিভাগীয় তদন্ত, আহতদের উন্নত চিকিৎসা ও শতভাগ আবাসন ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি প্রচণ্ড স্লোগান দিয়ে প্রশাসনিক ভবন, শহীদ মিনার এবং কাটা পাহাড় রোড পেরিয়ে জিরো পয়েন্টে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শেষ হয়।

বিক্ষোভকারী ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা নানা পোস্টার ও প্লেকার্ডে লিখা ভাষ্য দিয়ে নিজেদের দাবিগুলো পেশ করে। তারা ‘সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার জরুরি’, ‘বিচার হোক, টালবাহানা বন্ধ হোক’, ‘এই ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস চলবে না’, ‘মোবাদের কালো হাত বন্ধ করো’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যাবে না’, ‘শতভাগ আবাসন ও নিরাপদ ক্যাম্পাস চাই’—এমন নানা স্লোগান দেন।

মিছিল ও সমাবেশের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতারা, যেখানে বক্তব্য দেন শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর (দক্ষিণ) সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন রনি, শাখা সেক্রেটারি মোহাম্মদ পারভেজ, প্রচার সম্পাদক মো. ইসহাক ভূঁঞা ও শিক্ষা সম্পাদক মোনায়েম শরীফ।

বক্তারা বলেন, যদি দ্রুত এই দাবিগুলোর বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে প্রশাসনকে পদত্যাগে হুমকি দেন। মোহাম্মদ পারভেজ বলেন, ‘আমরা এখানে পড়াশোনা করতে এসেছি, সন্ত্রাসীদের সাথে লড়াই করতে নয়। কিন্তু পুলিশ ও প্রশাসনের নীরবতা আমাদের বারবার বিপদে ফেলছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আপনি যদি কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হন, তাহলে আপনারা আমাদের শান্তিতে থাকতে পারবেন না। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি কোন কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে পরিণতি আরও भয়াবহ হবে।’

শাখা সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আমাদের নিরাপত্তা ও বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করতে হবে। প্রশাসন যদি যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়, তা হলে শিক্ষার্থীরা আরও শক্তিশালী আন্দোলনে নামবে।’

চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি রনি বলেন, ‘অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনতে হবে। অবিলম্বে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, অন্যথায় প্রশাসনের পদত্যাগের পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে’।

অবশেষে, নেতারা আরও বলেন, ‘প্রয়োজনে প্রশাসনকে পদত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপের কোনো বিকল্প নেই’।”}}’]?>