ঢাকা | মঙ্গলবার | ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস আজ

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২৫। এই দিনে ইউনেস্কো বিশেষ করে তুলে ধরেছে ‘প্রযুক্তির যুগে সাক্ষরতার প্রসার’ এই প্রতিপাদ্যটি। দেশের শিক্ষা উন্নয়নে এটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন হিসেবে দেখা হচ্ছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো আজ রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে, যেখানে দেশের বিভিন্ন নেতা অংশগ্রহণ করবেন। এই আলোচনা সভার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

আলোচনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস, যিনি এই দিবসের জন্য একটি মানবিক বাণী প্রদান করেছেন।

উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সাল থেকে এটি বিশ্বব্যাপী এবং ১৯৭২ সাল থেকে স্বাধীন বাংলাদেশে এ দিনটি উদযাপিত হয়ে আসছে। সাক্ষরতা উন্নয়নে এই দিনটির গুরুত্ব বেশি কারণ তা অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে।

বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশে এই বিষয়ের সংজ্ঞায় ছোটখাটো পার্থক্য থাকলেও, ১৯৬৭ সালে ইউনেস্কো সাধারণ একটি সংজ্ঞা নির্ধারণ করে। অতীতে শুধু নাম লেখার সক্ষমতাই সাক্ষরতার মানদণ্ড ছিল, কিন্তু পরবর্তীতে সংজ্ঞায় পরিবর্তন আসতে থাকলো। ১৯৯৩ সালে নির্দিষ্ট তিনটি শর্তে স্পষ্ট করা হয় যে, একজন ব্যক্তিকে সাক্ষর বলা হবে যদি সে নিজের ভাষায় সহজ ও ছোট বাক্য পড়তে, লিখতে এবং সাধারণ জীবনের হিসাব-নিকাশ করতে পারে।

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে, অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য নিরক্ষরতা দূর করা একান্ত প্রয়োজন। দেশের সংবিধানে অবৈতনিক বাধ্যতামূলক শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করে ওই লক্ষ্য সাধনের প্রয়াস চালানো হচ্ছে। এভাবেই সাক্ষরতা ও উন্নয়ন সম্পর্কিত। এই উপায় দ্বারা সমাজের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব, কারণ শিক্ষা ও জ্ঞান ছাড়া টেকসই সমাজ গঠন কঠিন।