ঢাকা | সোমবার | ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৬ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

মহানবী (সা.)-এর জীবনাদর্শ বিশ্বে শান্তি ও কল্যাণের পথ দেখাতে পারে

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর অনুপম জীবনাদর্শ, সর্বজনীন শিক্ষা ও সুন্নাহ অনুসরণ আজকের বিশ্বে – যা দ্বন্দ্ব ও সংঘাতের মধ্যে ভরা – শান্তি, ন্যায় ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে। তিনি আজ শুক্রবার অনুষ্ঠিত পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে এক বাণীতে এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা বলেন, ‘মহানবীর আদর্শ ও সুন্নাহ মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়, যা থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে এ পৃথিবীর শান্তি ও সাফল্য আসে।’ ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) পৃথিবীর মুসলমানদের জন্য বিশেষ পবিত্র ও মহিমান্বিত একটি দিন, যা মহানবীর জন্ম ও ওফাতের পবিত্র স্মৃতি বহন করে। তিনি দেশবাসী ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে এই মাহফিলে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানান।

প্রফেসর ইউনূস বলেন, ‘হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন ‘রাহমাতুল্লিল আলামিন’, অর্থাৎ সমগ্র বিশ্বে রহমত। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁকে মানবজাতির হেদায়েত ও মুক্তির জন্য প্রেরণ করেছেন। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, “হে নবী, আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য রহমত হিসেবে পাঠিয়েছি” (সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত: ১০৭)। মহান নবী দুনিয়ায় এসেছিলেন ‘সিরাজাম মুনিরা’, অর্থাৎ আলোকোজ্জ্বল প্রদীপ্ত দৃষ্টান্তের মতো, যা মানুষের কুসংস্কার, অন্যায়, অবিচার, দাসত্ব ও পাপাচারের অন্ধকার দূর করে শান্তি, প্রগতি ও কল্যাণের বার্তা পৌঁছে দেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আল্লাহর প্রতি অশেষ আনুগত্য, ভালোবাসা, অসীম দয়া, মহৎ গুণাবলি ও সুন্দর চরিত্রের জন্য কোরআনে মহানবীর জীবনকে ‘উসওয়াতুন হাসানাহ’—অর্থাৎ সুন্দরতম আদর্শ বলা হয়েছে। তিনি বিশ্বমানবতার জন্য অত্যন্ত অনিন্দ্য সুন্দর শিক্ষা ও আদর্শ রেখে গেছেন, যা প্রতিটি যুগ ও জাতির জন্য মুক্তির দিশারী।

প্রফেসর ইউনূস ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) সকলের মাঝে শান্তি ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসুক—এই কামনা করে বলেন, ‘সমগ্র মুসলিম সমাজের ঐক্য আরও সুসংহত হোক। মহানবীর জীবনাদর্শকে অনুসরণ করে আমরা এ জীবনের পাশাপাশি পরকালীন জীবনেও কল্যাণ ও মুক্তি পাবো। এই প্রত্যাশায় তিনি সকলের জন্য শান্তি, বিপদ থেকে মুক্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। আমিন।