ঢাকা | শুক্রবার | ৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৩ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

নেতানিয়াহু পশ্চিম তীরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠক ডেকেছেন

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার পশ্চিম তীরের ভবিষ্যৎ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে শীর্ষ পর্যায়ের একটি বৈঠক আহ্বান করেছেন। দ্য টাইমস অফ ইসরায়েল জানিয়েছে, স্থানীয় সময় আজ সন্ধ্যা ৬টায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে নেতানিয়াহু পশ্চিম তীরের পরিস্থিতি মূল্যায়ন করবেন এবং সেখানে ইসরায়েলি সার্বভৌমত্বের প্রয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চালাবেন।

সূত্র মতে, নেতানিয়াহু পশ্চিম তীরের বিশেষ কিছু অংশে ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব কার্যকর করার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করবেন, যাতে ভবিষ্যতে পদক্ষেপ নেবে তা নির্ধারণ করা যায়। শীর্ষ মন্ত্রী ও দলের সহযোগীদের মতামত শুনে এই পরিকল্পনার কার্যপ্রণালী নির্ধারণ করবে। এছাড়া, ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হবে।

অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন এবং তিনি পশ্চিম তীরের প্রায় ৮২ শতাংশ এলাকা ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত করার প্রস্তাব তুলে ধরেছেন। এই বছরের শুরুর দিকে নেসেট ৭১-১৩ ভোটে পশ্চিম তীরের এই সংযুক্তির বিরোধিতা না করে অনুমোদন দিয়েছে, যা মনে করা হচ্ছে এই পরিকল্পনা কার্যকর করার উদ্যোগ।

তবে, ইসরায়েলি কর্মকর্তারা এই বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তের কথা অস্বীকার করে বলেছেন, এই বিষয়টি তাদের এজেন্ডায় এখনো নেই। তারা বলছেন, এমনকি এই পরিকল্পনার বিষয়টি আনুষ্ঠানিক আলোচনাতেও রাখা হয়নি।

মধ্যপ্রাচ্যে এই নতুন পরিকল্পনার প্রকাশ পেয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আয়াতের চূড়ান্ত কূটনীতিক লানা নুসাইবেহ বলেছেন, পশ্চিম তীর দখল করা হলো রেড লাইন। আব্রাহাম চুক্তির মূল উদ্দেশ্য হলো ফিলিস্তিনি জনগণ এবং তাদের স্বীকৃত রাষ্ট্রের ন্যায্য অধিকার রক্ষা করা। ইসরায়েলি পদক্ষেপগুলো এই চুক্তির মূল চেতনায় আঘাত হানে এবং রেড লাইন পার করে দেয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।

প্রসঙ্গত, স্মোট্রিচের দেখানো মানচিত্র অনুযায়ী, পশ্চিম তীরের প্রায় ৮২ শতাংশ এলাকায় ইসরায়েলি সার্বভৌমত্বের পরিকল্পনা রয়েছে, যেখানে মাত্র ১৮ শতাংশ এলাকায় থাকবে ছয়টি প্রধান ফিলিস্তিনি শহর—জেনিন, তুলকরেম, নাবলুস, রামাল্লাহ, জেরিহো ও হেবরন। এর ফলে বহু ফিলিস্তিনি এলাকা, যেমন বেথলেহেম, বাদ পড়বে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলি বলছে, এই পরিকল্পনা ফিলিস্তিনিদের স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বপ্ন ও আশা ধ্বংসের পথ প্রশস্ত করবে।