পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) পালনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সারাদেশে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এই গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসবটি শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্য নিয়ে বিশেষ জোর দিচ্ছে নিরাপত্তা ব্যাবস্থা। আগামীকাল (শনিবার) দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে রাজধানী ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা ও রাজশাহীর মতো মহানগরীগুলিতে জামাত ও শোভাযাত্রা নিরাপদ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নানা ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী নির্দেশ দিয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কভাবে কাজ করতে। বিশেষ করে বৃহৎ মসজিদ ও ধর্মীয় কেন্দ্রীক স্থানে, যেখানে ব্যাপক সমাগমের আশঙ্কা রয়েছে, সেখানে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে সংবেদনশীল এলাকায় নজরদারি ও টহল জোরদার করা হয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে জনসমাগমের ব্যবস্থা সুচারুভাবে পরিচালনার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ভক্ত ও অনুরাগীদের নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করতে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে গুরুত্ব দিয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী মুসলমানদের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী হিসেবে দিনটি পালন করা হয়। আগামীকাল সারাদেশে যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় এই দিনটি উদযাপিত হবে। এর জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা) সহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। মানবজাতির শান্তির বার্তা ও আল্লাহর অসীম রহমত নিয়ে, ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে হিজরি আরবির রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখে মক্কায় মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন এবং একই দিনে ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে তিনি ইন্তেকাল করেন।
