সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সোমবার (০১ সেপ্টেম্বর) সকালে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। প্রথমে তিনি প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় তাদের সঙ্গে দেখা করেন, এরপর বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতির সাথে একান্তে আলোচনা করেন। এর আগে রোববার সকালে সেনাপ্রধান প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন।
জানা গেছে, চলতি সপ্তাহে সেনাপ্রধানের এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকগুলো দেশের রাজনৈতিক ও সামরিক পরিস্থিতির আরও কার্যকর সমন্বয় আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এর পাশাপাশি, ২১ আগস্ট চীনে সরকারি সফরে যান সেনা প্রধান। বুধবার রাতে ফিরে আসার আগে, তিনি চীনের উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সফরে তিনি পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) স্থলবাহিনীর পলিটিক্যাল কমিসার জেনারেল চেন হুইসহ বিভিন্ন প্রতিনিধি দলের সাথে আলোচনা করেন। দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো ছাড়াও রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন, সামরিক শিল্পের উন্নয়ন ও বাংলাদেশের সার্বিক সামরিক সহযোগিতা নিয়েও নানা আলোচনা হয়।
এছাড়া, চীনে অবস্থানকালে সেনাপ্রধানকে পিএলএর সদরদপ্তরে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। সাক্ষাৎকালে তারা কৌশলগত সহযোগিতা, জনগণের মধ্যে সংযোগ, এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীনের সহায়তা নিয়ে আলোচনা করেন। সভায় বাংলাদেশের সামরিক শিল্পের উন্নতিতে চীনের প্রয়োজনীয় সহায়তারও আশ্বাস দেওয়া হয়।
অপরদিকে, দেশে ফিরে রোববার দেশের শীর্ষ তিন রাজনৈতিক দল বিএনপি, জামায়াত, ও ন্যাশনাল সোশালিস্ট পার্টির (এনসিপি) সাথে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ বৈঠকে তিনি জানান, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে প্রত্যাশা করছেন।
সেই সঙ্গে, আগামী ২ সেপ্টেম্বর আরও সাতটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করবেন তিনি। সোমবার থেকে শুরু করে এর মধ্যে আরো বেশ কিছু দলের সাথে এ বৈঠক চলবে বলে জানা গেছে।
বিশেষ করে, এই বৈঠকগুলো খুব শিগগিরই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি শান্ত ও সুষ্ঠু রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।