ঢাকা | মঙ্গলবার | ১১ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

জনগণের ভোটেই নির্ধারিত হবে ভবিষ্যৎ সরকার: আমীর খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারির মধ্যে দেশে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে সত্যিকার গণতন্ত্র পুনঃ প্রতিষ্ঠা হবে। বিএনপি ইতোমধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, আর জনগণও উৎসাহের সাথে অপেক্ষা করছে এই গুরুত্বপূর্ণ ভোটের জন্য।

শুক্রবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বরিশাল বিভাগীয় ব্যবসায়ী ফোরাম আয়োজিত ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

অতীতে রাষ্ট্রের অর্থনীতি কিছু সীমিত গোষ্ঠীর হাতে কেন্দ্রীভূত ছিল বলে উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, এখন আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে অর্থনীতিকে মোটেই গণতান্ত্রিক ও সম্প্রসারিত করে তোলার। এজন্য দেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পকে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের সুযোগ করে দিতে হবে। গ্রামাঞ্চলের মানুষ যারা এমনকি ঘরেই নানা পণ্য তৈরি করেন, তারাই হতে পারে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি।

তিনি আরও বলেন, ভোটের মাধ্যমে জনগণ তাদের আদর্শ ও প্রতিনিধিদের নির্বাচন করবে। এতে তারা তাদের মৌলিক চাহিদা, দাবি ও আশা ব্যক্ত করতে পারবে। জনগণের পাশে থাকবেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা, যারা দায়িত্ববোধ ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে সরকারকে মানুষের প্রয়োজন অনুযায়ী পরিচালনা করবেন।

আমীর খসরু উল্লেখ করেন, বিএনপি এক যোগ্য ও নির্বাচিত সরকারের অপেক্ষায় রয়েছে। যদি জনগণ আমাদের সমর্থন দেয়, আমরা শিগগিরই প্রস্তুতি নিচ্ছি যেন প্রথম দিন থেকেই জনগণের দুর্দশা ও সমস্যার সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারি।

তিনি জানান, আগে দেশের অর্থনীতি কিছু নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর হাতে কেন্দ্রীভূত থাকলেও এখন সেটি গণতান্ত্রিক ও সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এর জন্য আমাদের লক্ষ্য, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পকে আন্তর্জাতিক বাজারে অন্তর্ভুক্ত করে স্বল্প সময়ের মধ্যে অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা ও উন্নয়ন সাধন করা। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর তৈরি পণ্য যেন বিশ্ববাজারে পরিচিত হয়, সেটা আমাদের লক্ষ্য।

সপ্তাহাজুড়েই বিএনপি দেশের প্রতিটি বিভাগে গিয়ে মানুষের দয়ালি ও সমস্যা শুনছেন এবং তাদের দাবি-চাহিদা পূরণের জন্য উপায় খুঁজছেন। এই উদ্যোগের মাধ্যমে হস্তশিল্প ও কুটির শিল্পকে পুনরুদ্ধার, ব্র্যান্ডিং ও আর্থিক-প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে স্থান করে নেওয়া সম্ভব।

আমীর খসরু শেষ করে বললেন, আমরা চাই প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষ তাদের ঘরে বসে পণ্য উৎপাদন ও বিক্রি করুন। এতে তাদের জীবনমান উন্নত হবে, কর্মসংস্থান বাড়বে এবং অর্থনীতির মূলধারায় সাধারণ মানুষ যুক্ত হবে। এইভাবেই বাংলাদেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী হবে।