ঢাকা | সোমবার | ১লা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৯ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রমের আপিল শুনানি ৪ নভেম্বর

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম (ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স) সংক্রান্ত রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৪ নভেম্বর। এই দিন আপিল বিভাগ রায়ের উপর পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) আবেদনের ওপর শুনানি করবে। আপিল বিভাগের এই নির্দেশনা উপলক্ষে আজ লিভ মঞ্জুর (আপিলের অনুমতি) দেওয়া হয়, যা প্রধান বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামসহ ছয় বিচারপতির বিচারপতি বেঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

শুনানিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও নিহাদ কবির। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরা শুনানিতে অংশ নেন সিনিয়র আইনজীবী আহসানুল করিমের মাধ্যমে। বিচারসভায় ইন্টারভেনর হিসেবে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

বলা হয়ে থাকে যে, ১৯৮৬ সালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর ১১ সেপ্টেম্বর ওই বছর এটি জারি হয় এবং পরে বিভিন্ন সময়ে সংশোধন করা হয়।

তবে, ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি ও তার বৈধতা নিয়ে ডিবেট চলতে থাকায় ২০০৬ সালে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব মো. আতাউর রহমান হাইকোর্টে রিট দাখিল করেন, সেখানে এই ওয়ারেন্টের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন। ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট ঐ রিটে একে অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে।

এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১১ সালে আপিল করে, এবং ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ রায় দেন। এতে হাইকোর্টের নির্দেশনাগুলোর কিছুটা সংশোধনসহ তিন দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়। এগুলো হলো:
১. সাংবিধানিক পদধারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে কারণ সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন।
২. জাতীয় জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্য হিসেবে জেলা জজ ও সমমর্যাদার কর্মকর্তারা সরকারের সচিবদের সঙ্গে ১৬ নম্বর ক্রমিকে থাকবেন।
৩. জেলা জজদের পরে থাকবেন অতিরিক্ত সচিবরা ১৭ নম্বর ক্রমিকে।

পরবর্তীতে এই রায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন রিভিউ আবেদন করে, যা পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরা সমর্থন দেন। আপিল বিভাগের শুনানি ও সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়াগুলো এখনো চলমান রয়েছে।