ঢাকা | সোমবার | ১লা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৯ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

হিলি বন্দরে রপ্তানি ও রাজস্ব আয় বেড়েছে

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে দেশীয় পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারের রাজস্ব আয়ও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের ৩০ জুন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত এই বন্দরের মাধ্যমে ভারতে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি করা হচ্ছে। শনিবার হিলি স্থলবন্দর কাস্টমসের সহকারী কমিশনার এএসএম আকরম সম্রাট জানান, জুন থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে এই স্থলবন্দর দিয়ে মোট দুই হাজার ৯১ টন পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এর জন্য বাংলাদেশ সরকার প্রায় ১৭ লাখ ১০ হাজার ৫০০ ডলার আয় করেছে, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২০ কোটি টাকা। খবর বাসস। তিনি আরও বলেন, এত দিন সেখানে তেমন কোনও পণ্য রপ্তানি সম্ভব হয়নি, তবে এখন দেশীয় পণ্যের চাহিদা বাড়ায় ভারতে রপ্তানি কর্মসূচি শুরু হয়েছে। যদিও হিলি একটি আমদানি-নির্ভর বন্দর হলেও রপ্তানির পরিমাণ ক্রমশ বেড়েই চলছে। প্রতিটি পণ্য রপ্তানি সূচকের বিপরীতে প্রায় ৭০ শতাংশ পণ্য ভারত থেকে আমদানি করা হয়। ভারতীয় ব্যবসায়ীরা হিলি বন্দরের মাধ্যমে রাইস ব্রান (তুষের তেল), টোস্ট বিস্কুট, ম্যাংগো জুস, ঝুট কাপড়, নুডুলসসহ বিভিন্ন ধরনের বেকারি পণ্য নিয়ে ভারতে যাচ্ছেন। হিলি স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফেরদৌস রহমান বলেন, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই বন্দরে রপ্তানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার আয়ও বেড়েছে। সরকার এই বন্দরে কর্মরত শ্রমিকদের জন্যও সুবিধা নিয়ে থাকছে। তবে ভবিষ্যতে যদি ভারতের অভ্যন্তরে কিছু সমস্যার সমাধান করা যায়, তাহলে রপ্তানি আরও বেশি বাড়বে বলে প্রত্যাশা করছেন বন্দরের ব্যবসায়ীরা। কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দীন বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে এই বন্দর দিয়ে রপ্তানি বন্ধ থাকলেও এখন আবার পণ্য রপ্তানি শুরু হয়েছে। কাস্টমস বিভাগ সব ধরনের সহযোগিতায় ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়ীদের পাশে রয়েছে, যাতে আরও বেশি পণ্য রপ্তানি সম্ভব হয়।