মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার শীর্ষ সন্ত্রাসী এবং চারটি হত্যাকাণ্ডসহ মোট ২৩ মামলার আসামি সাজেদুল হক লালু ও তার তিন সহযোগীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দিনভর অভিযান চালিয়ে আটক করে। তাদের আটক করা হয়েছে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা এবং রাজধানীর হাতিরঝিল থেকে। দুপুরের পর একটি প্রেস রিলিজের মাধ্যমে জেলা পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করে।
আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন, হোগলাকান্দি গ্রামের মৃত মনির হোসেনের ছেলে সাজেদুল হক লালু (৪৫), চৌদ্দকাহনিয়া গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে শাকিল (২৭), একই গ্রামের মৃত মাহমুদ হোসেনের ছেলে দুইজন—আলাউদ্দিন (৬৫) ও জসিম (৪৫)।
গজারিয়া থানার এক অফিসার জানান, ২৬ নভেম্বর রাতে গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের চৌদ্দকাউনিয়া গ্রামে টিকটক ভিডিও তৈরির নাম করে এক যুবক জয় সরকারকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সংশ্লিষ্ট মামলার এজাহারে নাম রয়েছে এই চারজনের। এরপর থেকেই তারা পলাতক ছিল।
অভিযানকালে র্যাব-৩ তাদের আটক করে রাতের দিকে হাতিরঝিল থেকে, আর র্যাব-১১ এর একটি দল নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে শাকিলকে, কাচপুর বালুর মাঠ থেকে আলাউদ্দিনকে এবং ফতুল্লা থানা এলাকা থেকে জসিমকে গ্রেপ্তার করে। পরে বুধবার গভীর রাতে هؤلاء সবাই গজারিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।
গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাসান আলী বলেন, লালু গজারিয়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে চারটি হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি অস্ত্র, মাদক, মারামারি এবং নানা ধরনের অপরাধে অন্তত ২৩টি মামলা রয়েছে। তার গ্রেপ্তারিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তির নিয়াম এসেছে এবং বাকি আসামিদের দ্রুতই গ্রেফতার করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
শীর্ষ সন্ত্রাসী লালুর গ্রেপ্তার ঘটনায় নিহত জয় সরকার এর বোন জান্নাতি আক্তার ও নিহত মান্নানের স্ত্রী সুমি আক্তার স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। সুমি আক্তার বলেন, ‘প্রায় ছয় মাস পরে লালু আইনের হাতে ধরা পড়ছে। কয়েক মাস আগে মান্নান হত্যার পর তাকে আইনের আওতায় আনা হলে হয়তো আর এই ধরনের অপরাধে জড়াতে পারত না। আমি চাই তার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হোক, কারণ অপরাধের জন্য এর চেয়ে ভালো উপায় আর কিছু নয়।’














