ঢাকা | শুক্রবার | ১৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৮শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

মোবাইল আমদানিতে শুল্ক কাটছে সরকার: এনবিআর চেয়ারম্যান

মোবাইল ফোনের দাম কমানোর জন্য সরকার দেশের উভয় ক্ষেত্রেই আমদানি ও উৎপাদন দ্রুততর করতে কর ছাড়ের পরিকল্পনা করছে। এদিকে, এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান জানিয়েছেন, দেশের ব্যবসা আরও সহজ করার জন্য আমদানির শুল্কের পরিবর্তে ভ্যাট ও আয়কর আদায়ে নজর দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে, অবৈধ আমদানির প্রবণতা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে মোবাইল ফোনে শুল্ক কমানোর বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইনটিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট’ (র‌্যাপিড) উদ্যোগে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, পৃথিবীর অন্য কোনও দেশ এতো বেশি ট্রেড ট্যাক্স নেয় না যতটা আমরা করি। এর মূল কারণ হলো, দেশের স্থানীয় শিল্পগুলোকে রক্ষার জন্য নিচ্ছি। তবে বর্তমানে, মোবাইল ব্যবসায়ীরা স্থানীয় উৎপাদনকে উৎসাহ দিতে শুল্ক কমানোর পক্ষে মত দেন।

আবদুর রহমান খান বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো মোবাইল ও স্মার্টফোনের দাম কমিয়ে আনা, যাতে সাধারণ ক্রেতা সুবিধা পায়। এজন্য আমরা উভয় ক্ষেত্রেই শুল্ক ছাড়ের দিকে নজর দিচ্ছি। তিনি আরও জানান, বিজয় দিবসের সঙ্গে কার্যকর হচ্ছে দেশের মোবাইল ফোনের নিবন্ধন ব্যবস্থা এনইআইআর। এর ফলে, শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে আনা মোবাইল ফোনগুলো ভবিষ্যতে আর বিক্রি বা ব্যবহার করা সম্ভব হবে না। তবে, আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত অবৈধ ফোন বিক্রীর সময় থাকবে। এর পরে, অবৈধ ফোনের নেটওয়ার্কে সংযোগও বন্ধ করে দেয়া হবে।

অধিকাংশ অবৈধ মোবাইল এখন গ্রে মার্কেট থেকে আসে, যেখানে যথাযথ রাজস্ব আদায় হয় না। এনবিআর সভাপতির মতে, যদি এই ফোনগুলো ফরমাল চ্যানেলে আনা হয়, তাহলে রেভিনিউ বেড়ে যাবে।

উৎপাদনশীলতা বাড়াতে এবং স্থানীয় শিল্পকে সুরক্ষা দিতে বেশিরভাগ সময় বেশি শুল্ক আরোপ করা হয়; তবে সরকার এখন তা কমানোর পরিকল্পনা করছে। বর্তমানে, স্মার্টফোনে আমদানি শুল্ক ও ভ্যাট মিলিয়ে ৬১.৮ শতাংশ কর দেওয়া হয়, যেখানে উৎপাদন ও সংযোজনের ভিন্নতা অনুযায়ী ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশের শুল্ক ও ভ্যাট রয়েছে।

প্রতি বছর এ বিষয়ে নানা আলোচনা ও প্রতিবাদ চলছে, যেমন সম্প্রতি মোবাইল ব্যবসায়ীরা ‘ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিফিকেশন রেজিস্টার’ (এনইআইআর) চালুর বিরোধিতা করেন। এনইআইআর চালু হলে অবৈধভাবে আসা ফোনের ব্যবহার বন্ধ হবে, এবং বিদেশ থেকে আসা পুরোনো ফোনের ব্যবসা নিষিদ্ধ হতে পারে। এ বিষয়ে একাধিক বৈঠক ও আলোচনা শেষ হয়েছে, যেখানে তিন মাসের জন্য অবৈধ ফোন ব্যবসায় কিছু ছাড় দেওয়া হয়।