আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তির দাবী জানিয়েছে। তার গ্রেপ্তারের ঘটনাকে তারা মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর অপমানজনক আঘাত হিসেবে ও উদ্বেগজনক প্রবণতা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। সংস্থাটির দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক গবেষক রেহাব মাহমুদ এক বিবৃতি দিয়ে বলেন, আনিসের গ্রেপ্তারের ঘটনা এক ধরনের ভিন্ন মত প্রকাশের ওপর দমন-পীড়নেরই অংশ। বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগকে সমর্থন করার সন্দেহে এখন বিভিন্ন ব্যক্তিকে হয়রানি ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, যা গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘনের চর্চা। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহ্বান জানান, তারা যেন সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহার বন্ধ করে নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার স্বরাষ্ট্র থেকে আন্তর্জাতিক চুক্তির (আইসিসিপিআর) অনুবর্তিতা নিশ্চিত করে। তিনি আরও বলেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের নির্বাচনের আগে ভীতিমুক্ত পরিবেশ তৈরি করে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষায় মূলত নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে।
গত ১৪ ডিসেম্বর রাতে ধানমন্ডি থেকে আনিস আলমগীরকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয় এবং পরদিন উত্তরা পশ্চিম থানার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আদালত তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালতে আনিস আলমগীর তার বক্তব্যে বলেন, আমি একজন সাংবাদিক। আমি সবসময় ক্ষমতাসীনদের প্রশ্ন করে থাকি। এতদিন ধরে আমি সেই কাজই করে এসেছি। কারো কাছে মাথা নত করাকে আমি অপশন হিসাবে দেখি না।
এ বিষয়ে উল্লেখ্য, এই মামলায় আনিস ছাড়াও জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন, মডেল মারিয়া কিসপট্টা ও উপস্থাপক ইমতু রাতিশ ইমতিয়াজকে আসামি করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়, ৫ আগস্টের পর থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও টকশোতে অংশ নিয়ে নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের পক্ষে রাজনীতির বিরুদ্ধে গুজব ও প্রচারণা চালাচ্ছেন। এই কর্মকাণ্ডের ফলে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা উসকানি পাচ্ছে এবং দেশের স্থিতিশীলতার জন্য ক্ষতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।














