উন্নত চিকিৎসার জন্য শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকায় একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স হাদির জন্য যাত্রা শুরু করেছে। এই অ্যাম্বুলেন্সটি দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড়ে যায়, ভারতের মধ্যে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে। হাদির সঙ্গে তার দুই ভাইও এই সফরে আছেন। এর আগে, সকাল ১১টা ২২ মিনিটে সংশ্লিষ্ট এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকায় অবতরণ করে, যেখানে তার চিকিৎসা চলছিল।
প্রাক্তন এই এমপির শারীরিক পরিস্থিতি বর্তমানে খুবই সঙ্কটাপন্ন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দ্রুত সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এই ঘটনার পেছনে অন্যতম সন্দেহভাজন হিসেবে ফয়সাল করিমের নাম উঠে এসেছে। তিনি নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা এবং সম্প্রতি হাদির নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেছিলেন।
গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে রিকশায় যাত্রাকালে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেল থেকে হামলা চালিয়ে হাদির মাথায় গুলি করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে আইসিইউতে রাখা হয়। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, তার শারীরিক অবস্থা এখনও খুবই উদ্বেগজনক।
পল্টন থানায় এই হামলার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এর মধ্যে হামলার জন্য ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটির মালিক, সীমান্ত থেকে মানুষ পাচারকারীর সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন এবং মূল অভিযুক্ত ফয়সালের আত্মীয়রাও রয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, হামলার সাথে জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের সীমান্ত দিয়ে পালিয়েছেন তারা, তবে এই সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, নভেম্বর মাসে হাদির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, দেশি-বিদেশি নানা নম্বর থেকে তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাসহ বিভিন্ন হুমকি দেওয়া হচ্ছিল।














