ঢাকা | সোমবার | ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৭ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

‘ধর্মবিদ্রোহ আইন’ প্রণয়নের দাবিতে সিলেটে মুসলিম উম্মাহর সমাবেশ

‘নাস্তিক্যবাদী’ লেখক, ব্লগার এবং তাদের পরিচালিত ব্লগ ও ম্যাগাজিন বন্ধ করাসহ অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে শুক্রবার সিলেটের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে “সিলেটের ধর্মপ্রাণ মুসলিম উম্মাহ” নামে একটি সংগঠন।

সিলেট সদর, মৌলভীবাজার, শ্রীমঙ্গল, কুলাউড়া, বড়লেখা ও বিয়ানীবাজারসহ বিভিন্ন উপজেলায় আয়োজিত এসব সমাবেশে হেফাজতে ইসলাম এবং বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ইসলামপন্থী দলগুলোর কর্মীরা অংশ নেন।

বিক্ষোভকারীরা ‘ধর্মবিদ্রোহ আইন’ কার্যকর করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারী হিসেবে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান।

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা মামুনুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “এই সমাবেশ প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশে ইসলাম বিরোধী অপচেষ্টা আর হতে দেওয়া হবে না। বাংলাদেশ মুসলমানদের মাটি, এখানে নাস্তিকদের কোন জায়গা নাই।” তিনি মুহম্মদ জাফর ইকবাল, আসিফ মহিউদ্দিন, শাহরিয়ার কবির, আসাদ নুর, ইশতিয়াক আহমেদ, সুব্রত শুভ ও সৈয়দা মহসিনা ডালিয়াসহ বেশ কয়েকজন ব্লগারের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ করেন যে, তারা “ইচ্ছাকৃতভাবে ইসলামের নামে কুৎসা প্রকাশ করছে”। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ধর্মবিদ্রোহ আইন প্রণয়নের মাধ্যমে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

সিলেট বিভাগ হেফাজতের আমির মুফতি মাওলানা রশিদুর রহমান ফারুক বর্ণভী বলেন, “এটা ৩৬০ আউলিয়ার দেশ, এখানে নাস্তিকদের জন্য কোনও স্থান নেই। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আহবান জানাচ্ছি তাঁরা যেন দ্রুত সমাজের এই নাস্তিক কীট গুলোকে কঠিন শাস্তি দেন।”

একই দাবিতে হাটহাজারী উপজেলা হেফাজতের সাধারণ সম্পাদক এমরান শিকদার বলেন, “এই নাস্তিকরা আমাদের ইসলাম সম্প্রদায়কে হুমকি দিচ্ছে। দ্রুত এই নাস্তিক ব্লগার, লেখক ও নাস্তিক্যবাদী ওয়েবসাইটগুলোকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে।”

সংবাদদাতারা জানিয়েছেন, সমাবেশগুলো শান্তিপূর্ণ ছিল এবং কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। আয়োজকরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, তাদের দাবি পূরণ না হলে ভবিষ্যতে আরও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।