ঢাকা | সোমবার | ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৭ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

ফরিদপুরে ‘কবর কবিতার শতবর্ষ’ গ্রন্থের প্রকাশনা ও উৎসব

ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে সম্প্রতি এক সম্মানজনক ও উৎসাহজনক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে পল্লী কবি জসীমউদ্দীনের বিখ্যাত ‘কবর’ কবিতার শতবর্ষপূর্তি উদযাপিত হয়েছে। এই উপলক্ষে প্রকাশিত হয়েছে ‘কবর কবিতার শতবর্ষ’ নামের একটি বিশেষ গ্রন্থ এবং এর মোরক উন্মোচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় শনিবার বিকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে।

এই বিশেষ গ্রন্থটি সম্পাদনা করেছেন কবি, লেখক ও গবেষক ড. মোহাম্মদ আলী খান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আবদুর রশীদ। তিনি গ্রন্থের গুরুত্ব ও বাংলার সাহিত্য জগতে এর অবদানকে সম্মান জানান।

সভাপতির আসনে ছিলেন ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক আলতাফ হোসেন, এবং সঞ্চালক ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মফিজ ইমাম মিলন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্লা, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এম. এ. সামাদ, স্বাধীন চিকিৎসক ডা. মাহমুদুল হাসান, ডক্টর কাকলী মুখোপাধ্যায়, অধ্যাপক আব্দুল হালিম ও অন্যান্যগুণী ব্যক্তি।

গ্রন্থের সম্পাদক ড. মোহাম্মদ আলী খান বলেন, কলকাতা থেকে ১৯২৫ সালে ‘কল্লোল’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল ‘কবর’ কবিতা, যা পরে স্কুলের পাঠ্যাভাসে সংযোজন হয়। এই কবিতাটির ইতিহাস বাংলার সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করে চলেছে, তরুণ-তরুণীদের মনে গভীর ছাপ ফেলেছে। এটি এক কাল্পনিক but চিরন্তন কবিতা, যা আজও পাঠকদের মনে গভীর প্রভাব ফেলে এবং আবৃত্তি অনুষ্ঠানে মুখরিত করে।

শত বছর পার হলেও, ‘কবর’ কবিতার মহিমা আজও অম্লান, যা সমসাময়িক পাঠক, কবি ও সাহিত্যিকদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। এই শতবর্ষে এসে প্রত্যেকের কাছে এই কবিতা এক প্রিয় ও প্রেরণাদায়ক ধন হয়ে উঠেছে, যা প্রতিবার স্পর্শ করে অন্তরের গভীরে।