ঢাকা | রবিবার | ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৬ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

কুমিল্লা-৯ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ড. রশিদ আহমেদ হোসাইনী

আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পরিকল্পনা এগিয়ে চলছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উদ্যোগে। এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে ইসি একগুচ্ছ পরিকল্পনা গ্রহণ করে নির্বাচনী রোডম্যাপ তৈরির কাজ করছে। সূত্র জানায়, অক্টোবরের মধ্যে মূল প্রস্তুতিমূলক কাজগুলো সম্পন্ন হবে, যার মধ্যে সীমানা নির্ধারণ, রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন, নির্বাচনী পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে প্রয়োজনীয় সংশোধনী, আচরণবিধি জারি, ভোটার তালিকা ও অন্যান্য বিভিন্ন দপ্তর সম্পূর্ণ চূড়ান্ত করা হবে। বিশেষ করে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ছোটখাটো সংস্কারগুলো দ্রুত শেষ করতে চায় ইসি, যা শিগগিরই আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

এদিকে, এই নির্বাচনের কেন্দ্রীয় আলোচনা ও প্রস্তুতির পাশাপাশি কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনেও মহাউত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এই আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা হচ্ছেন ড. রশিদ আহমেদ হোসাইনী, যিনি দীর্ঘদিন ধরেই দলকে সংগঠিত ও শক্তিশালী করার কাজে অবতীর্ণ। তিনি যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় শ্রম বিষয়ক সম্পাদক, ডাকসুর সাবেক সদস্য, সফল ব্যবসায়ী, আনছারিয়া ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন, বিজিএমইএর ফোরামের মহাসচিব ও পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। জাতির দুঃসময়ে দলের হাল ধরে তিনি মাঠে থেকেছেন, গ্রুপিং দ্বন্দ্বের মধ্যেও সাধারণ নেতাকর্মীদের মধ্যে আশার আলো জ্বেলেছেন।

দৈনিক বাংলা-কে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি তাঁর এলাকার উন্নয়ন পরিকল্পনা, রাজনৈতিক জীবন, এবং প্রতিবেশীদের প্রতি তাঁর আদর্শ ও ভরসার কথা ব্যক্ত করেন। ড. হোসাইনী বলেন, আমার এলাকাবাসী আমাকে অত্যন্ত সম্মান করে। আমি যখন এলাকায় যাই, নিরাপত্তা বা বডিগার্ডের প্রয়োজন হয় না। সাধারণ মানুষ খুব সহজে আমার কাছাকাছি আসে ও ভালোবাসে। আমি ছাত্রদল ও যুবদল করে আজ বিএনপিতে এসেছি। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। মানুষের কল্যাণে আমি সবসময় কাজ করে গিয়েছি।

তিনি বাংলাদেশের অতীত আর বর্তমানের রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে বললেন, ১৯৭১ সালে বিশাল মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জিত হলেও সত্যি, স্বাধীনতা আসলে এখনও পুরোপুরি পূরণ হয়নি। ৯০ এর গণঅভ্যুত্থানেও স্বৈরাচার এরশাদকে সরানোর পর আন্দোলন অব্যাহত থাকে, যা আবারো গণতন্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, দেশের উন্নয়নে যুবকদের এগিয়ে আসা জরুরি, কারণ তারা দেশের ভবিষ্যৎ। তিনি বিশ্বাস করেন যে, তারেক রহমানের নেতৃত্ব ও ৩১ দফা দেশের জন্য অনেক পথ দেখিয়েছেন।

ড. হোসাইনী বলেন, আমি নিজে বাংলাদেশের যে কোনো আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে প্রস্তুত। তিনি মনে করেন, সব দেশপ্রেমী ও শিক্ষিত নেতা জনগণের সমর্থনে এগিয়ে যেতে পারবেন এবং ধানের শীষের বিজয় হবে ইনশাল্লাহ। তিনি সাধারণ জনগণের উদ্দেশ্যে আহ্বান জানিয়ে বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকে সমাজে সত্য ও ন্যায়ের প্রতিষ্ঠায় এক হতে হবে। আপনারা এগিয়ে আসুন, দুর্নীতি, দখলবাজি ও মাদক থেকে দূরে থাকুন। সত্যের পথে সবাই একসঙ্গে এগিয়ে যাবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অবশেষে, এই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের স্বপ্ন দেখছেন তিনি, যেখানে প্রত্যেকটি মানুষের الحقوق নিরাপদ, সমাজ যেন সজীব ও মুক্ত। সাক্ষাৎকারটি সম্পন্ন করেন মোঃ সোহেল রানা, দৈনিক বাংলা।